নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হলো বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০ এর আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের এই আয়োজনে আজ সাইক্লিং ও ম্যারাথনে জয়ী ক্রীড়াবিদদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল, এমপি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি।
সকালে হাতিরঝিলে ম্যারাথন দিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন। ম্যারাথনে ছেলেদের বিভাগে স্বর্ণপদক জেতেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল আমিন। এই বিভাগে রূপা জিতেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরিকুল ইসলাম ও ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজ্জাদ। মেয়েদের ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিহা আল সোহা। এই বিভাগে রূপা জিতেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মারজিয়া আফরিন আর ব্রোঞ্জ জিতেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হামিদা আক্তার জেবা।
সাইক্লিংয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইফুল ইসলাম রাসেল। এই বিভাগে রূপা জিতেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েম ও ব্রোঞ্জ জিতেছে প্রাইম ইউনিভার্সিটির সানোয়ার। সাইক্লিংয়ে মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাজনীন জাহান। এই বিভাগে রূপা জিতেছে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিনা খাতুন। এই বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির নিশাত আনজুম।
পুরস্কার বিতরণীর আগে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি তার বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে তরুণদের উজ্জীবিত হওয়ার আহবান জানান। খেলাধূলার উন্নয়নে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আন্তঃকলেজ ও আন্ত:স্কুলসহ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন আয়োজনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, খেলাধূলার আয়োজনে বর্তমান সরকার সবসময়ই উদ্যোগী। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তিনি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নিয়মিত খেলাধূলা করেছেন। ১০০ মিটার, হাই জাম্প, লং জাম্প খেলেছেন নিয়মিত। সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলার প্রসারে কাজ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খেলাধূলার আগ্রহী হয়ে যুবসমাজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বড় অবদান রাখতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সিলভার স্পন্সর জয়া স্যানিটারি ন্যাপকিনের পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়নদের পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এই অর্থ পাঠানো হয় এবারের আয়োজনের পেমেন্ট পার্টনার নগদের মাধ্যমে।
পোলারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবার মুজিববর্ষে হচ্ছে আরও বড় পরিসরে। ১০১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে এবারের আসরে লড়বে প্রায় ৬ হাজারের কাছাকাছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে নারী ক্রীড়াবিদ থাকছেন ১২০০ জন।
এবারের আসরে সব মিলে থাকছে ১২টি ইভেন্ট। অ্যাথলেটিকস, ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল,টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, সাইক্লিং, সাঁতার, হ্যান্ডবলের সঙ্গে এবার নতুন করে যোগ হচ্ছে দাবা ও কাবাডি। সব মিলে ৬৮৭টি পদকের জন্য হবে ৪২টি পৃথক পৃথক প্রতিযোগিতা। এখান থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় পাবে চ্যাম্পিয়নের স্বীকৃতি। আর একজন করে পুরুষ ও নারী খেলোয়াড় পাবে সেরার পুরস্কার। দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে এবারের আসর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।