যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা মিক মুলভেনিকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান। খবর বিবিসির।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ পদে বদল আনলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মার্ক মেডোজকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
চিফ অব স্টাফ হিসেবে হোয়াইট হাউসে এক বছর দুই মাস ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করা মিক মোভানির স্থলাভিষিক্ত হলেন মেডোজ। এ নিয়ে ট্রাম্পের চলতি মেয়াদেই চারবার চিফ অব স্টাফ বদলাল বলে বিবিসি জানিয়েছে। মোভানির আগে এ পদে ছিলেন জন কেলি; তার আগে রেইনস প্রিবাস।
চিফ অব স্টাফ থেকে সরিয়ে মোভানিকে উত্তর আয়ারল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে টুইটে বলেছেন ট্রাম্প।
চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি থেকেই ট্রাম্প চিফ অব স্টাফের পদ থেকে মোভানিকে সরিয়ে দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেসময় এ খবরগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘ভালো’ বলে নিশ্চিত করেছিলেন।
হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও মোভানিকে কখনোই ট্রাম্পের ‘ইনার সার্কেলের’ সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।
অন্যদিকে মেডোজ আগে থেকেই ট্রাম্পঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১২ সালে তখনকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক তুলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছিলেন এ রক্ষণশীল রাজনীতিক। যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ওবামা কেনিয়ায় জন্মেছিলেন বলে সেসময় দাবি করেছিলেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নর্থ ক্যারোলাইনার এ কংগ্রেস সদস্যের অবস্থানও ট্রাম্পের মতোই, বলছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। নতুন দায়িত্বে আসায় মেডোজকে এখন নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
“মার্ক আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত, তার সঙ্গে আমি কাজও করেছি। আমাদের দুজনের সম্পর্ক চমৎকার,” বলেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার চলার সময় বিতর্কিত ছিলেন মার্কিন ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ মিক মুলভেনি ।
অভিযোগ ছিল, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোনে চাপ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প।