নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবারো ঠিকই প্রমাণ করে দিয়েছে এই সংস্করণটাকে কেন তাদের খেলা বলা হয়। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট ও ১৮ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে ক্যারিবিয়ানরা।
পাল্লেকেলেতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৭ উইকেটে। ১৫৬ রানের লক্ষ্য ক্যারিবিয়ানরা পেরিয়ে যায় ১৮ বল বাকি থাকতেই। ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের সেই তেতো স্বাদ ফিরিয়ে দিয়ে শোধ নিল সফরকারীরা।
পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানে আভিশকা ফার্নান্দোকে হারায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা কুসল পেরেরা এদিন থামেন ১৫ রান করে। স্বাগতিকরা উইকেট হারায় নিয়মিত। একটা পর্যায়ে ১০৯ রানে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট।
সেখান থেকে লঙ্কানদের সংগ্রহ দেড়শ ছাড়ায় সপ্তম উইকেটে ভানিদু হাসারাঙ্গা ও থিসারা পেরেরার অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটির কল্যাণে। সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে। ২৪ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। ১৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ রান করেন থিসারা। বাঁহাতি স্পিনে ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট পাওয়া পেসার ওশেন টমাস এদিন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নেন একটি।
লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা লেন্ডল সিমন্স এবার ফেরেন দুই অঙ্কে যাওয়ার আগে। তৃতীয় ওভারে তাকে বোল্ড করে ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। সঙ্গী হারানোর পর ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার কিং। পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে লাসিথ মালিঙ্গাকে দুই ছক্কা ও একটি চারে তোলেন ১৯ রান।
প্রথমবার আক্রমণে এসে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কিংকে থামান লাহিরু কুমারা। ২১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তৃতীয় উইকেটে ৩৪ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন হেটমায়ার ও রভম্যান পাওয়েল। ১৭ রান করে পাওয়েল ফেরার পর বাকি কাজটা সারেন হেটমায়ার ও রাসেল।
ম্যাথিউসকে ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা রাসেল বল উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেছেন মোট ছয়বার। তার ১৪ বলে ৪০ রানের ইনিংসে ছিল না কোনো চার। ৪২ বলে ৩ চারে ৪৩ রান করেন হেটমায়ার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলঙ্কা : ২০ ওভারে ১৫৫/৬ (কুসল পেরেরা ১৫, আভিশকা ৯, জয়াসুরিয়া ১৬, মেন্ডিস ১১, ম্যাথিউস ২৩, শানাকা ৩১*, হাসারাঙ্গা ৮, থিসারা ২১*; অ্যালেন ৪-০-২৪-২, কটরেল ৪-০-২৯-১, টমাস ৪-০-২৪-১, রাসেল ৪-০-৩৩-০, ব্রাভো ৪-০-৩৫-০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৭ ওভারে ১৫৮/৩ (সিমন্স ৯, কিংস ৪৩, হেটমায়ার ৪৩*, রভম্যান ১৭, রাসেল ৪০*; মালিঙ্গা ৩-০-৪৬-০, থিসারা ২-০-১৫-০, ম্যাথিউস ৪-০-২৬-১, জয়াসুরিয়া ১-০-১১-০, সান্দাক্যান ২-০-১৭-০, কুমারা ৪-০-৩৩-১, শানাকা ১-০-১০-০)।
ফল : ৭ উইকেটে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিরিজ : দুই ম্যাচ সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচসেরা : আন্দ্রে রাসেল।
সিরিজসেরা : আন্দ্রে রাসেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।