Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেকর্ডে ভাস্বর তামিম-লিটন

পঞ্চাশে শেষ অধিনায়ক মাশরাফির

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

ওপেনিংয়ে দেশের সেরা জুটির রেকর্ড হয়েছিল বৃষ্টির শুরুর আগেই। শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ আর মেহরাব হোসেন অপির ২১ বছর আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এবার বাংলাদেশের হয়ে যেকোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ২৯২ রানের জুটি গড়েন তারা। ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহকে।

২০১৭ সালে কার্ডিফে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২২৪ রানের জুটি এতদিন ছিল যেকোনো উইকেটে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। এবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রচিত হলো নতুন রেকর্ড। তাদের রেকর্ড গড়া ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন। বাংলাদেশ ৪৩ ওভারে ৩ উইকেটে করেছে ৩২২। আগের ম্যাচে ৫০ ওভারে এই রান করেছিল তারা। নতুন করে খেলা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ ৯ ওভার ৪ বলে যোগ করেছে ১৪০ রান। লিটন ও তামিমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৪৩ ওভারে ৩৪২ রানের বড় লক্ষ্য পায় জিম্বাবুয়ে। ৩৭.৩ ওভারে ২১৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। বিদায়ী ম্যাচে অধিনায়ক মাশরাফির ৫০তম জয়। বাংলাদেশের ১৩তম সিরিজ হোয়াইটওয়াশ উদযাপন।

গতকাল প্রেক্ষাপটটা সাজিয়ে দিয়েছিলেন লিটন, তামিম। দু’জনেই ছোটালেন চার-ছয়ের ফুলঝুরি। রেকর্ডের পথে দুজনেই করেন সেঞ্চুরি। এই প্রথম একই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দুই ওপেনারই পেলেন সেঞ্চুরি। লিটনের সেঞ্চুরি এসে গিয়েছিল বৃষ্টি শুরুর আগে। বৃষ্টিতে ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট বন্ধ থাকার পর ছন্দ পড়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। লিটন এসেই দুবার জীবনও পান। পরে মানিয়ে নিয়েই খেলতে থাকেন আগ্রাসী মেজাজে। তামিম বৃষ্টির পরও থাকেন থিতু। অনেকদিন রান পেতে ভুগার পর এবার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন সেঞ্চুরি।

৩৭তম ওভারে দুজনে স্পর্শ করেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রানের অবিস্মরনীয় জুটি। তারপরই ছক্কা মেরে রেকর্ড ভেঙে দেন লিটন। রেকর্ড ভাঙার সময় লিটনের রান ১২৮ বলে ১৩ চার, ৩ ছক্কায় ১৩০। তামিম তখন ৯৬ বলে ৯৭। পরে তিনি তুলে নেন সেঞ্চুরি। এই জুটি থেমেছে তিনশোর কাছে গিয়ে। ১৪৩ বলে ১৭৬ রান করে লিটন আউট হলে ভাঙে রেকর্ড ২৯২ রানের এই জুটি।

আগের রেকর্ডও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ১৯৯৯ সালের ২৫ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেনের সেই উদ্বোধনী জুটি ছিল ১৭০ রানের। তাদের রেকর্ড জুটির পরও অবশ্য বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেড়শ ছোঁয়া উদ্বোধনী জুটি হলো পাঁচটি। যার তিনটিতেই জড়িয়ে আছেন তামিম।

২০১৪ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এনামুল হকের সঙ্গে তামিমের জুটি ছিল ১৫৮ রানের। পরের বছর চট্টগ্রামেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সৌম্য সরকারের সঙ্গে গড়েন ১৫৪ রানের জুটি। অন্যটিতে এনামুলের সঙ্গী ছিলেন ইমরুল কায়েস। ২০১৪ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের জুটি ছিল ১৫০ রানের।

তার আগেই লিটন গড়েন আরেক রেকর্ড, দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। তার ১৬ চার ও ৮ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটির পেছনে পড়ে গেছে আগের ম্যাচেই তামিমের করা ১৫৮। তবে সেঞ্চুরিতে নিজেকে ছাড়িয়ে তামিম ছুটেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেশসেরা ওপেনারের এটি ১৩তম শতক!
ক্রিকেট ইতিহাসেই তামিম-লিটনের উপরে ওপেনিংয়ে বড় জুটি আছে আর মাত্র দুটি। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন ক্যাম্পবেল আর শেই হোপ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েছিলেন ৩৬৫ রানের বিশ্বরেকর্ড জুটি। তার আগে ২০১৮ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩০৪ রানের জুটি গড়ে তখনকার রেকর্ড গড়েছিলেন পাকিস্তানের ফখর জামান ও ইমাম-উল হক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ