পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারা বছর শিক্ষার্থীরা কোন দিন কি পড়বে তার একটি পরিকল্পনা হাতে পেয়ে উৎফুল্ল আড়াইহাজার উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। নতুন এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরো মনোযোগী করে তুলেছে। পরিবর্তন এসেছে আড়াইহাজার উপজেলার শিক্ষাক্ষেত্রে।
একই দিনে একই পাঠদান পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছে। উপজেলার ২৮টি অনুমতিপ্রাপ্ত হাইস্কুল ও অনুমতিবিহীন ১৮টি স্কুলের ৩০ হাজার ৩৯৬ শিক্ষার্থী সমন্বিত পাঠদান কর্মসূচির আওতায় মেধা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেনের পরিকল্পনায় পাঠ পরিকল্পনাটি সম্পাদনা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কেএম আলমগীর হোসেন।
আড়াইহাজার আলহাজ শাহজালাল মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ‘আমার বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা নামে’ এই পরিকল্পনা উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন উদ্বোধন করেন। এসময় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. উজ্জল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কেএম আলমগীর হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার মো. শাহজাহান ও আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাব সভাপতি মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
দুপ্তারা সেন্ট্রাল করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন সরকার জানান, সমন্বিত পাঠ কার্যক্রম নিঃসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। এতে করে স্কুলে-স্কুলে বৈষম্য কমবে। শিক্ষাখাতে সমতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও লাভবান হবে। এই কার্যক্রম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে ভাল স্কুল বলে আলাদা কোন বিষয় থাকবে না। সে সাথে স্কুলগুলোর ফলাফল ভালো হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন জানান, আমার অভিজ্ঞতায় দেখছি উপজেলা পর্যায়ে ভালো স্কুলগুলোতে নিয়মিত পাঠদান করা হয়। কিন্তু দূরবর্তী ইউনিয়নে এবং প্রান্তিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে যথাযথ তদারকির অভাবে অনেক সময় পুরো সিলেবাস পড়ানো হয় না। সকল বিদ্যালয়ে সহপাঠক্রম যেমন: উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিদ্যালয় পরিচ্ছন্নতা ও রচনা প্রতিযোগিতা এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় না। এজন্য পাঠ পরিকল্পনায় এ বিষয়সমূহও অন্তর্ভুক্ত করেছি। যা উপজেলার সকল শিক্ষার্থীর গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ভ‚মিকা রাখবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন যোগদানের পর থেকেই উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়নে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে তিনি উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ণ করে চমৎকার একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।