নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিকরা। তবে আজকের ম্যাচটি বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। লড়াইয়ে নামার আগে তাদের পণ ছিল আজ জিতেই মাঠ ছাড়বে। কারণ আজ যে তাদের প্রিয় অধিনায়ককে জয় উপহার দিতে হবে।
সত্যি তাই হলো। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা। তামিম-লিটনের পর সাইফউদ্দিন-তাইজুলরা ১২৩ রানের বড় এক জয় উপহার দিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। প্রথমে ব্যাট করে ৪৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান করে বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টি আইনে সফরকারীদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রানের। জবাবে খেলতে নেমে ৩৭.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এতে ১২৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ৪৩ ওভারে ৩২২/৩ (তামিম ১২৮*, লিটন ১৭৬, মাহমুদউল্লাহ ৩, আফিফ ৭; মুম্বা ৮-০-৬৯-৩, সুমা ৬-১-৪৮-০, রাজা ৭-০-৬৪-০, মাধেভেরে ৫-০-২৯-০, টিরিপানো ৮-০-৬৫-০, উইলিয়ামস ৯-১-৪৬-০)।
জিম্বাবুয়ে : (লক্ষ্য ৪৩ ওভারে ৩৪২) ৩৭.৩ ওভারে ২১৮ (কামুনহুকামউই ৪, চাকাভা ৩৪, টেইলর ১৪, উইলিয়ামস ৩০, মাধেভেরে ৪২, রাজা ৬১, মুটুমবামি ০, মুটুমবোদজি ৭, টিরিপানো ১৫, মুম্বা ৪*, সুমা ০; মাশরাফি ৬-০-৪৭-১, সাইফ ৬.৩-০-৪১-৪, মিরাজ ৮-০-৪৭-০, মুস্তাফিজ ৬-০-৩২-১, আফিফ ২-০-১২-১, তাইজুল ৯-০-৩৮-২)।
ফল : বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী।
সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০তে জয়ী।
ম্যাচসেরা : লিটন দাস।
সিরিজসেরা : তামিম ইকবাল ও লিটন দাস
বড় জয়ের পথে বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা ৩৪২ রানের। কিন্তু ১৭৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে জিম্বাবুয়ে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩০ ওভারে ১৭৩। হাতে আছে ৩ উইকেট। সিকান্দার রাজা ৩৬ ও ডোনাল্ড তিরিপানো শূন্য রানে ব্যাট করছেন।
জিম্বাবুয়ের সপ্তম উইকেটটি শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩০তম ওভারের তৃতীয় বলে মুতোমবোদজিকে (৭) ফেরান তিনি। এর আগে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হন মাধভেরে। লীয় ১৫০ রানের মাথায় পয়েন্টে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সাইফউদ্দিনের বলে আউট হওয়ার আগে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে যান মাধভেরে। নিশ্চিতভাবেই বড় জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা।
উইকেটের দেখা পেলেন মুস্তাফিজ
প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে কেবল ৬ রান দেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান আক্রমণে ফিরেই পেলেন উইকেটে দেখা। ফিরিয়ে দিলেন টিনোটেন্ডা মাটোমবোদজিকে। আগের বল বেরিয়ে এসে বাউন্ডারি মেরেছিলেন মুতুমবুদজি। পরের বলটি ছিল কাটার। বুঝতেই পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। স্লিপে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাতে।
৬ বলে ৭ রান করেন মাটোমবোদজি। ৩০ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৭৩/৭। ক্রিজে সিকান্দার রাজার সঙ্গী আগের ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়ের সম্ভাবনা জাগানো ডোনাল্ড তিরিপানো।
রান আউটে ফিরলেন মুতুমবামি
মেহেদী হাসানের প্রথম চার বলে দুই চার ও ছক্কায় ১৪ রান নেন সিকান্দার রাজা। পঞ্চম বলে অনেকটা ডেকে নিয়ে যেন রান আউট করালেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
অফ স্পিনারের বল লেগে ঘুরিয়ে রানের জন্য দৌড়ান রাজা। সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিয়ে এগিয়ে যান খানিক আগে ক্রিজে আসা রিচমন্ড মুতুমবামি। রান সম্ভব নয় বুঝে হুট করে জায়গায় ফিরে যান রাজা। সেই সুযোগ ছিল না কিপার-ব্যাটসম্যানের।
২ বলে ফিরেন শূন্য রানে। ২৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৬৪/৬। ক্রিজে রাজার সঙ্গী আগের ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়ের সম্ভাবনা জাগানো টিনোটেন্ডা মাটোমবোদজি।
মাধেভেরেকে ফিরিয়ে সাইফের দ্বিতীয়
দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা ওয়েসলি মাধেভেরেকে ফিফটির আগেই থামালেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। পেলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বাড়তি লাফিয়ে ভেতরে ঢোকা বল চমকে দেয় মাধেভেরেকে। পুল করতে চেয়েছিলেন। টাইমিং একেবারেই হয়নি। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মেহেদী হাসান মিরাজ।
৪২ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করেন মাধেভেরে। ২৭ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৫০/৫। ক্রিজে সিকান্দার রাজার সঙ্গী রিচমন্ড মুতুমবামি।
চাকাভাকে ফেরালেন তাইজুল
এক প্রান্ত আগলে রাখা রেজিস চাকাভার প্রতিরোধ ভাঙলেন তাইজুল। দারুণ এক ডেলিভারিতে জিম্বাবুয়ের ওপেনারকে বোল্ড করে দিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
স্কিড করা দ্রুত গতির বল ভুল লাইনে খেলার মাশুল দেন চাকাভা। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস। ৪৫ বলে এক চারে ৩৪ রান করেন চাকাভা।
২২ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১১৬/৪। ক্রিজে ওয়েসলি মাধেভেরের সঙ্গী নিজের শততম ওয়ানডে খেলা সিকান্দার রাজা।
অভিষেকেই উইকেট শিকার আফিফের
অভিষেকে ব্যাট হাতে বেশি কিছু করার ছিল না। বল হাতে সুযোগ পেলেন নিজের সামর্থ্য দেখানোর। দ্বিতীয় বলেই শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করে ভাঙলেন জমে যাওয়া জুটি। দারুণ এক ডেলিভারিতে উইলিয়ামসকে বোল্ড করে দেন আফিফ। তরুণ অফ স্পিনারের ডেলিভারি মিডল-অফে পড়ে স্পিন করে বরিয়ে যাওয়া বল আঘাত হানে অফ স্টাম্পে।
৩৬ বলে পাঁচ চারে ৩০ রান করেন উইলিয়ামস। ১৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৭৪/৩। ক্রিজে রেজিস চাকাভার সঙ্গী ওয়েসলি মাধেভেরে। জয়ের জন্য শেষ ২৯ ওভারে ২৬৮ রান চাই তাদের।
মাশরাফির পর সাইফউদ্দিনের আঘাত
লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ওভারেই ধাক্কা দিয়েছেন মাশরাফি। প্রথম ওভারেই নড়াইল এক্সপ্রেস লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন তিনাশে কামুনুকাওকে (৪)। দ্বিতীয় ধাক্কা দিয়েছেন সাইফউদ্দিন ব্রেন্ডন টেলরকে (১৪) মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ বানিয়ে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৮ রান তুলেছে।
জিম্বাবুয়ের সামনে ৩৪২ রানের পাহাড়
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তাই বলে কি আজকের ম্যাচে ছাড় দিবে টাইগাররা? মোটেও না! কারণ এই ম্যাচটি যে টাইগারদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূণ। আজকের ম্যাচ দিয়েই সমাপ্তি ঘটছে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার অধিনায়কত্বের অধ্যায়। প্রিয় কাপ্তানকে জয় উপহার দিবে বলে যেন প্রতিজ্ঞা করে মাঠে নেমেছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। তাই তো দুইজনই তুলে নিয়েছেন ঝড়ো সেঞ্চুরি।
লিটন খেলেছেন দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। আর তামিম ইকবাল তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৩তম ও সিরিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দুই জনের ব্যাটে জড়ে ৪৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান তুলে টাইগাররা। তবে বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৪২ রান।
১৪৩ বলে ১৬ চার ও ৮ ছক্কায় ১৭৬ করে লিটন আউট হলেও ১০৯ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ৩ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আর আফিফ করেন ৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ৩২২/৩ (তামিম ১২৮*, লিটন ১৭৬, মাহমুদউল্লাহ ৩, আফিফ ৭; মুম্বা ৮-০-৬৯-৩, সুমা ৬-১-৪৮-০, রাজা ৭-০-৬৪-০, মাধেভেরে ৫-০-২৯-০, টিরিপানো ৮-০-৬৫-০, উইলিয়ামস ৯-১-৪৬-০)
তামিমের ব্যাক টু ব্যাক হান্ড্রেড
ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করলেন তামিম ইকবাল। গত ৩ মার্চ ১৫৮ রান করে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। শুক্রবারও করলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ৯৮ বলে সেঞ্চুরি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের এখন সেঞ্চুরির সংখ্যা ২৩টি।
তামিমকে টপকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান লিটনের
আগের রেকর্ড টিকেছিল ১১ বছর। পরের রেকর্ড টিকল স্রেফ দুই দিন। তামিম ইকবালের ১৫৮ ছাড়িয়ে গেলেন লিটন দাস। ১৩৯ বলে ১৬ চার ও ৬ ছক্কায় ১৬৪ রান নিয়ে খেলছেন লিটন। তামিম ব্যাট করছেন ১০৯ রানে।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৭৯/০।
লিটন-তামিমের রেকর্ড
সিলেটে ব্যাট হাতে ঝড় তুলছেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। এ দুইজন ব্যাট হাতে ঝড় তুলে চুরমার করছেন একের পর এক রেকর্ড। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়ার পর এবার গড়লেন যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
বৃষ্টির আগে যেখানে থেমেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করেছেন তামিম ও লিটন। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৭ ওভার কমে যাওয়ায় আরও আগ্রাসী ব্যাটিং করা শুরু করেন এ দুইজন। লিটনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিমও। চার-ছক্কার ঝড় তুলে এখন পর্যন্ত ওপেনিং জুটিতে তারা তুলেছেন ২৪০ রান, যা যেকোনো উইকেটে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গড়ে তুলেছিলেন ২২৪ রানের জুটি। সিলেটে চার ছক্কার ঝড় তুলে তাদের পেছনে ফেলেছেন তামিম ও লিটন।
এছাড়া বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটিটি এসেছে ইমরুল ও সৌম্যের ব্যাট থেকে। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তারা করেছিলেন ২২০ রান। একই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ২০৭ রানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব ও তামিম। ২০০ ছাড়ানো এ চারটি জুটিই রয়েছে টাইগারদের।
খেলা শুরু সন্ধ্যা পৌনে ৭টায়
অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ৩৩.২ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৮২ রান করার সময় শুরু হয় বৃষ্টি।
প্রায় দেড় ঘণ্টা চলেছে বৃষ্টির দাপট। মাঝে একবার থামলেও কিছুক্ষণ পর আবার শুরু হয়। তবে অবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বৃষ্টি পুরোপুরি থেমে যাওয়ার পর কভার সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর সোয়া ৬টার দিকে মাঠ পরিদর্শনে করেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। তাতে খুশির খবরই এসেছে। ম্যাচ শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা। খেলা হবে ৪৩ ওভারে।
বৃষ্টির আগে ম্যাচের পুরোটাই ছিল বাংলাদেশের দখলে। একটি উইকেটও হারায়নি স্বাগতিকরা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবাল গড়েছেন ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি। লিটন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করে অপরাজিত ১০২ রানে, আর তামিম অপরাজিত আছেন ৭৯ রানে।
সিলেটে রান বৃষ্টির পর বৃষ্টির হানা
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডে'তে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ সিরিজ আগেই ২-০'তে নিশ্চিত করেছে মাশরাফি বিন মুর্ত্তজার দল। বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩.২ ওভারে বিনা উইকেটে ১৮২ রান।। উইকেটে আছেন, তামিম ইকবাল (৭৯) এবং লিটন দাস (১০২)। বৃষ্টির কারণে খেলা এখন বন্ধ রয়েছে।
সোয়া ছয়টায় পর্যবেক্ষণ
বৃষ্টি থেমেছে সিলেটে। সরানো হচ্ছে কাভার। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে খেলা। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় মাঠের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন আম্পায়াররা। মাঝে একটু সময়ের জন্য থেমেছিল। কাভার সরানোর আগেই আবার বৃষ্টি নেমেছে সিলেটে। ধীরে ধীরে কমছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নামার আশা। খেলা শুরু করার শেষ সময় রাত ৯টা ২১ মিনিট।
সিরিজে লিটনের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি
লিটন দাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সেঞ্চুরির মাঝে পার্থক্য ছিল ১৫ ম্যাচের। ডানহাতি ওপেনার তৃতীয় সেঞ্চুরি করতে সময় নিলেন আর ২ ম্যাচ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পর শেষ ম্যাচে সিরিজের দ্বিতীয় শতক হাঁকালেন ১৩টি চারে। ১১৪তম বলে বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান।
অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ৩৩ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৮১ রান তাদের। লিটন ১০২ ও তামিম ৭৯ রানে অপরাজিত আছেন।
লিটনের পর তামিমের ফিফটি
৫৪ বলে ফিফটি করে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছেন লিটন দাস। অগ্রজ তামিমও বসে থাকেননি তিনিও ক্যারিয়ারের ২৮ নম্বর ফিফটি তুলে নিয়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশ ২২.১ ওভারে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১২২ রান তুলেছে। লিটন ৭১ বলে ৬৯ এবং তামিম ৬৩ বলে ৫২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
ক্রিজে জমে উঠেছেন তামিম-লিটন
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে দেশের জার্সিতে অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নিচ্ছেন মাশরাফি। আর জিম্বাবুয়ে তারকা সিকান্দার রাজা খেলছেন শততম ওয়ানডে।
লিটনের হাফসেঞ্চুরি
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে জিম্বাবুয়ে বোলারদের পেটাতে থাকেন লিটন দাস। অপরপ্রান্তে ধীরগতিতে ব্যাট করছেন তামিম। আট ওভার চার বলে দুজনে গড়েন ৫০ রানের জুটি। আর প্রথম পাওয়ার প্লে অর্থাৎ ১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তোলে বিনা উইকেটে ৫৩ রান।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। ৭টি চারের সাহায্যে এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৯১ রান। উইকেটে আছেন তামিম ইকবাল (৩৭) এবং লিটন দাস (৫৪)।
অধিনায়ক মাশরাফির শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
যে দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছিল নেতৃত্ব সেই দলের বিপক্ষেই ইতি টানছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে দিয়ে শেষ হচ্ছে তার অধিনায়কত্ব। এই ম্যাচে দারুণ এক অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। শেষ ম্যাচ জিতলেই অধিনায়ক হিসেবে জয়ের ফিফটি হবে তার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার খেলা শুরু হয়েছে দুপুর দুইটায়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছে মাশরাফির বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস টসের সময় অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদায়ী অধিনায়ক মাশরাফিকে।
৮ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৫। ২৯ রানে ব্যাট করছেন লিটন দাস। ১৬ রান নিয়ে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন আগের ম্যাচে রেকর্ড ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল।
নাঈম-আফিফের অভিষেক, বাদ মুশফিক
বাংলাদেশ দলে এসেছে চার পরিবর্তন। বিতর্কিতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান ফেরায় বাদ পড়েছেন আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করা শফিউল ইসলাম ও আল আমিন হোসেন। বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেনও। অভিষেক হচ্ছে আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের।
বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
অপরিবর্তিত জিম্বাবুয়ে দল
চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেননি চামু চিবাবা। তার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শন উইলিয়ামস। অসুস্থতার জন্য মাঠের বাইরেই আছেন ক্রেইগ আরভিন।
জিম্বাবুয়ে : শন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), টিনাশে কামুনহুকামউই, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলি মাধেভেরে, রেজিস চাকাভা, রিচমন্ড মুতুমবামি, টিনোটেন্ডা মাটুমবোদজি, ডনাল্ড টিরিপানো, কার্ল মুম্বা, চার্লটন সুমা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।