Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তামিম-লিটনের জোড়া সেঞ্চুরিতে যত রেকর্ড

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২০, ৮:২৩ পিএম

দিনের শুরুতেই রোদের ঝলকানি। মাঝে বৃষ্টির বাগড়া, দেড় ঘণ্টা কালক্ষেপণে ওভারও কমে এলো। তাই এবার আর ধীর-স্থির নয়, তামিম-লিটন ব্যাট চালালেন টর্নেডো স্টাইলে। বাংলাদেশ পৌঁছে গেল ৩ উইকেটে ৩২২ রানের পর্বতসম সংগ্রহে। তবে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৪২।

কোনো তাড়াহুড়ো নেই। প্রতিটা শট ক্রিকেটীয়। আজ (শুক্রবার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটিং চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার মতোই। বাংলাদেশের দুই ওপেনার খেলে গেলেন সাবলীল ভঙ্গিমায়।

মাঝে বৃষ্টির বাগড়া, সময় ফুরানোয় ওভারও কমে এলো। তাই এবার আর ধীর-স্থির নয়, তামিম-লিটন ব্যাট চালালেন টর্নেডো স্টাইলে। বাংলাদেশ পৌঁছে গেল ৩ উইকেটে ৩২২ রানের বিশাল সংগ্রহে। তবে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ৩২৩ নয়। ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৪৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৪২।

আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে গড়া এই ইনিংসে অনেক রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে গেল বাংলাদেশ। তামিম-লিটনের জোড়া সেঞ্চুরিতে কেবল বাংলাদেশেরই নয়, নতুন করে লেখা হলো ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের অনেক রেকর্ডও।

ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে একের পর এক কাব্যগাথা লিখে গেছেন তামিম-লিটন। দেখে-শুনে শুরু করলেও ক্রমেই বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের এই দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতেই ২৯২ রান যোগ করেন তামিম-লিটন। এটা যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি।

জুটিটি কেবল বাংলাদেশের ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডে অনেক কিংবদন্তি জুটিকে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম-লিটন। তামিম-লিটনের জুটিটি ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় সেরা। তাদের সামনে কেবল দুটি জুটি আছে।

গত বছর জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপের করা ৩৬৫ রানের জুটিটি ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা উদ্বোধনী জুটি। ২০১৮ সালে ইমাম উল হক ও ফকর জামানের গড়া ৩০৪ রানের জুটিটি দুই নম্বরে। ওই ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল এই জিম্বাবুয়েই।

যেকোনো উইকেট জুটিতেও তামিম-লিটনের ২৯২ রান জায়গা করে নিয়েছে সেরা দশের তালিকায়। ওয়ানডে ইতিহাসে যেকোনো উইকেট জুটির হিসেবে তামিম-লিটনের জুটিটি জায়গায় করে নিয়েছে ছয় নম্বরে।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টানা ৩০০ রান করার দিক থেকেও রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এবারই প্রথম, তিন ম্যাচের কোনো সিরিজের প্রতিটি ম্যাচে ৩০০'র বেশি সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ।

এত রেকর্ড গড়ার দিনে তামিম ও লিটন দুজনই সেঞ্চুরি করেছেন। বৃষ্টি নামার আগেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। তামিম তখন ৭৯ রানে অপরাজিত। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই সিলেটের উইকেটে ঝড় বইয়ে দেন লিটন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের সামনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো গলির বোলারে পরিণত হন।

তার ব্যাটিংয়েই শেষ ৯.২ ওভারে ১৪০ রান পায় বাংলাদেশ। ১১৪ বলে ১৩টি চারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা লিটনই শেষ পর্যযন্ত খেলেন ১৪৩ বলে ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১৭৬ রানের মহাকব্যিক এক ইনিংস। এই ইনিংস দিয়ে অনেক রেকর্ড নিজের করে নেন লিটন।

তামিম ইকবালের করা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৫৮ রান ছাড়িয়ে লিটন এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক। এক ইনিংসে তামিমের সর্বোচ্চ ৭টি ছক্কা মারার রেকর্ডটিও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।

লিটনের ঝড় তোলার দিনে তামিমও খেলেছেন মন মাতানো ইনিংস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া তামিম ১০৯ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ