বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এবার শিক্ষা ভবনের টিস্যুবক্সে লাগানো হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ নিয়ে শিক্ষা ভবনে তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি বগুড়ার পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করতে যান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে উপস্থিত শত শত শিক্ষার্থী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখোশ পরে তাকে স্বাগত জানালে তিনি এর কোনো প্রতিবাদ করেন নি। এ নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে দীপু মনিকে ভর্ৎসনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। আর সমালোচনার মধ্যেই আরেকটি কা- ঘটিয়েছে ‘দুর্নীতি ভবন’ হিসেবে পরিচিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কতিপয় অতি উৎসাহী শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। এবার তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছেপে দিয়েছে টিস্যু বক্সে। এই টিস্যু পেপারগুলো ব্যবহার করবেন শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব)সহ সব পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাত-আটমাস আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তাদের লোগো ব্যবহার করে এক হাজার টিস্যু বক্স তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেভাবেই এসএমএস টেকনলোজিস নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা অধিদপ্তরের কতিপয় অতি উৎসাহী কর্মকর্তা টিস্যুবক্সে অধিদপ্তরের লোগোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর ছবিও জুড়ে দেয় টিস্যু বক্সে। শুধু তাই নয়, সেই টিস্যু বক্সের দামও ধরা হয় অনেক বেশি। প্রতিটি টিস্যু বক্সের দাম ধরা হয়েছে ৫৬ টাকা। যা বাজারে পাইকারি দরে ত্রিশ টাকায় পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত এই এক হাজার প্রশ্নবিদ্ধ টিস্যুবক্স এখন শিক্ষা ভবনের মূল ভবনের নীচ তলার স্টোর রুমে রাখা হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সকালে শিক্ষামন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির মুখোশ পরে শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানান। যার প্রতিবাদ করেননি শিক্ষামন্ত্রী। এ নিয়ে গত ২ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সভায় ডা. দীপু মনির ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর মুজিববর্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির ছবি ছাপানো টিস্যুবক্স কর্মকর্তাদের টেবিলে-টেবিলে দেয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়েও আছে প্রশ্ন।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতার ছেচল্লিশতম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সামনে একটি কেক রাখা হয়। যা বানানো হয় জাতীয় পতাকার আদলে। জাতীয় পতাকার ওপর ছুড়ি চালাতে পারবেন না বলে কেক না কেটে সেই স্থান ত্যাগ করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। সেই সময় এই ঘটনা নিয়েও হয়েছিল হৈচৈ। সেই কেকের আইডিয়াও ছিলো কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তার। তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও নাহিদের সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি আজও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।