বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জমিজমা নিয়ে সৎ মা ও সৎ ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধের জেরে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগে দক্ষিণখান থানার ওসিসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। একইসঙ্গে তার সৎ মাকেও আসামি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সামসুন্নাহারের আদালতে মামলার আবেদন করেন ৪৩ বছর বয়সী ওই নারী। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন-দক্ষিণখান থানার ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন, এসআই আবদুল কাদির, আরিফ হোসেন, এএসআই মো. আ. রুপ, নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম, জয়েনউদ্দিন, মো. তৌফিক, রুনা আক্তার ও ইয়াসমিন আক্তার এবং সৎ মা মার্জিয়া আক্তার (পুতুল)।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে তার সৎ ভাই ইকবাল হোসেনের (সজল) জমি-জমা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। সম্প্রতি আদালত মার্জিয়া আক্তারকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন। এটি জানতে পেরে বাদী ও তার পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য ফ্ল্যাটে ছুটে যান বাদীর সৎ মা মার্জিয়া আক্তার। ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন মামলা সম্পর্কে অবগত থাকার পরও বাদীর বাসায় দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এসআই আবদুল কাদির বাদীকে নির্যাতন করে। ওসি সেখানে উপস্থিত এক সাক্ষীর শ্লীলতাহানি করে। বাদী এবং সাক্ষীকে তখনই বের হয়ে যেতে বলেন ওসি। বের না হলে তাদের ধর্ষণের হুমকি দেয়। এ সময় বাদীর ১১ বছরের কন্যা চিৎকার করলে ওসি ৩ নং সাক্ষীকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। বাদীর স্বামী ও দুই নং সাক্ষীর স্বামী মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকাবস্থায় ওসির নির্দেশে অপর পুলিশ সদস্য তাদের মোবাইল কেড়ে নেন এবং তাদের মারধর করেন। পরে পুলিশ তাদের ভ্যানে উঠিয়ে তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখে। এ সময় সকল আসামিরা দুই সাক্ষীকে বিবস্ত্র অবস্থায় টানাহেঁচড়া করে বাসার নিচতলায় নামিয়ে মেইন গেটে তালা দিযে বাদী ও সাক্ষীদের বাসা থেকে উচ্ছেদ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।