Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আউয়ালের সংবাদ সম্মেলন

জামিন নাটকের পরদিন

পিরোজপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল জামিন নাটকের পরদিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
লিখিত বক্তব্যে সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার দুদকের মামলায় তার জামিন না মঞ্জুর করতে পিরোজপুর জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক আ. মান্নানকে প্রভাবিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এছাড়া মন্ত্রী তার প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ণ করে নতুন ও জামায়াত-বিএনপিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন। তাছাড়া তার ভাইদের অনৈতিকভাবে ঠিকাদারি কাজে যুক্ত করে কয়েকশ’ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। আলোচিত জি.কে শামীমের কাছ থেকে ৩টি গাড়ি উপঢৌকন হিসেবে নিয়ে তাকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা নিয়ে পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করে সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল বলেন, শ ম রেজাউল করিম ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। সেই হিসেব অনুযায়ী ’৭১ সালে তার বয়স ৯ বছর। একজন বাচ্চা কিভাবে সে সময় মুক্তিযুদ্ধে যায়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এহেন মিথ্যাচার ও নিজেকে স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা সঠিক নয়। এজন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ তার। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অসত্য, সবই মিথ্যাচার।
এদিকে, স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এখনও পিরোজপুর থেকে চলে না যাওয়ায় পূর্ব ঘোষিত আদালত বর্জন অব্যাহত রেখেছেন আইনজীবীরা। গতকাল বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে জজের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে সখ্যতা ও বিভিন্ন অনৈতিক কাজের অভিযোগে এনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান পান্না জানান, জেলা জজ আব্দুল মান্নান পিরোজপুর আদালতে যোগদানের পরপরই এখানকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরেন। তিনি আদালত কক্ষে স্বাধীনতা পক্ষের আইনজীবীদের সাথে প্রায়ই অসদাচারন করতেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী লোকজনদের তার খাস-কামরায় নিয়ে বৈঠক করতেন। স্থানীয় এপেক্স ক্লাবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত যোগদানসহ স্বাধীনতা বিরোধী চক্রদের সাথে নিয়ে নিজ বাসায় ভাড়ায় নর্তকী এনে নাচ-গানের আসর বসাতেন। যা কিনা আদালতের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। তবে এ বিষয়ে স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ