পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফর নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক সোনালি অধ্যায়। ভারতের সঙ্গে আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করেছি। ভারতে কিছু হলে এখানেও প্রভাব পড়ে। আমরা ভারতকে বলেছি, এমন কিছু করবেন না যাতে জনগণের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়, যেহেতু আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ক‚টনীতি: এক দশকে বিশ্বে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ ও রফতানি বাড়ানো, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি, এ চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ক‚টনীতি সাজিয়েছি। ক‚টনীতিতে এমনভাবে কাজ করতে হয়, যাতে জাতির লাভ হয়। আমাদের ক‚টনীতির প্রধান একটি দিক যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আরেকটি চীন ও ভারত। তাদের ব্যালেন্স করে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক রেখে আমরা এগোচ্ছি। সেই সঙ্গে আমাদের মুসলিম দেশগুলোর সহযোগিতাও আমরা মাঝেমধ্যে পাই। তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস আমাদের আয়ের বড় উৎস। ইউরোপ ও আমেরিকা মানবাধিকারকে বেশি গুরুত্ব দেয়, মাঝেমধ্যেই বিচার হয় না বলে হৈচৈ করে। এজন্য রফতানি আয় বাড়াতে ট্রাফিক ইন ট্রাইব্যুনাল তৈরি করছি। এছাড়াও লাইফ চেঞ্জার প্রোগ্রাম চালু করেছি। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে জনশক্তি রফতানি করা হবে। আমরা বাস্তববাদী, সেটি উপলব্ধি করে কাজ করছি।
বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি দেশ থেকে বের হয়ে আসলে কিছু সুযোগ-সুবিধা হারাতে পারে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেই জন্য আমরা একটি উইং চালু করেছি। সেটি মাথায় রেখেই কাজ করছি। আমাদের সামনে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গা, আমরা এ বিষয়ে কৌশলগত অবস্থান নিয়েছি।
পাবলিক ডিপ্লোম্যাসির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ৩৩টি দেশে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন তৈরি করেছি, যার মাধ্যমে বিভিন্ন সেমিনার হচ্ছে। বাংলাদেশকে তুলে ধরা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী দুই বছর আমাদের জন্য স্বর্ণযুগ। এবছর মুজিববর্ষ। তার পরের বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর প‚র্তি। এ দুই বছরে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুন করে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। ব্র্যান্ডিং পরিবর্তন হলে বিনিয়োগ আসবে। এজন্য নতুন অনেক দেশে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ১০০ ইকোনমিক জোন ও ২৮টি হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির কথা তুলে ধরছি, যাতে বিদেশিরা সেখানে বিনিয়োগ করে। আমরা ভাগ্যবান জাতি, আমাদের বেশিরভাগ তরুণ। তাদের কাজে লাগাতে পারলেই পরিবর্তন সম্ভব হবে।
ডিকাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টির সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।