Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মর্যাদার লড়াইয়ে বড় জয় আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২০, ৯:৩১ পিএম

দেশের ফুটবলে মর্যাদার লড়াইয়ে বড় জয়ই তুলে নিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)’র দ্বাদশ সংস্করণে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতেই বিধ্বস্ত হলো ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী ৪-০ গোলে হারায় বদলে যাওয়া মোহামেডানকে। বিজয়ী দলের হয়ে হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট কারভেন্স দু’টি এবং কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার এডগার বেনহার্ড ও স্থানীয় ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন একটি করে গোল করেন।

ম্যাচে এক বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারেনি মোহামেডান। গেল মৌসুমের লিগে শেষ সাক্ষাতে মোহামেডান ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল আবাহনীকে। কিন্তু বলা চলে ফিরতি দেখায় প্রতিশোধই তুলে নিল বিপিএলের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। শুধু তাই নয়, দ্বৈরথের পরিসংখ্যানে আরো এগিয়ে গেল আবাহনী। বিপিএলে এখন পর্যন্ত ২৪ দেখায় মোহামেডানকে ১১ বার হারালো ঢাকার আকাশী-হলুদরা। এর মধ্যে পাঁচ ম্যাচ জিতেছে মোহামেডান। বাকি আট ম্যাচ অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়।

দেশের ফুটবলের ক্রান্তি লগ্নে কাল মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ দেখতে প্রায় হাজার দুয়েক দর্শক স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। খেলা শেষে আবাহনী সমর্থকরা উল্লাসে মেতে উঠলেও মোহামেডান সমর্থকদের হতাশা নিয়েই ঘরে ফিরতে হয়।

দুই জায়ান্টের লড়াইয়ে বুধবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় মোহামেডান। তবে অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারের অভাবে গোল পায়নি সাদাকালোরা। ম্যাচের দশ মিনিটের মধ্যেই খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় আবাহনী। সংঘবদ্ধ আক্রমণে তারা একের পর এক গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। যা থেকে এক হালি গোল আদায় করে নেয় অভিজাত পাড়ার দলটি।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে জীবনের উড়ন্ত ক্রসে বেলফোর্টের হেড করলে তা কর্নারের বিনিময়ে ফেরান মোহামেডান অধিনায়ক উরু নাগাতা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সেই কর্নার থেকেই গোল পায় আবাহনী। মামুনুল ইসলামের কর্নারে অনেকটা ফাঁকায় থাকা বেলফোর্ট লাফিয়ে ওঠে হেডে গোল করেন (১-০)। এই গোলটির জন্য কিছুই করার ছিল না মোহামেডান গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেলের। ৩৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বেলফোর্টের পাস থেকে বল ধরে বক্সের ভেতরে ঢুকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে আবাহনীর পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন বেনহার্ড (২-০)। মিনিট তিনেক পর গোল পেতে পারত সাদাকালোরা। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে ওবি মনেকের বাঁ পায়ের জোরালো শট কর্ণারে ফেরান আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। তবে ৪৩ মিনিটে সেই বেলফোর্ট দলের হয়ে তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন (৩-০)। ৬৩ মিনিটে স্থানীয় ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন গোল করলে ম্যাচ থেকে পুরোটাই ছিটকে পড়ে মোহামেডান (৪-০)। ম্যাচের বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আবাহনী। এই জয়ে চার ম্যাচের তিনটি জিতে এবং এক ড্রতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে তালিকার শীর্ষে আবাহনী। সমান ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও বসুন্ধরা কিংসেরও দশ পয়েন্ট করে। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে সাইফ দ্বিতীয় ও বসুন্ধরা তৃতীয়স্থানে রয়েছে। চার ম্যাচে দ্’ুটি করে জয় ও হারে ৬ পয়েন্ট পাওয়া মোহামেডানের অবস্থান ষষ্ঠস্থানে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ