পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় ২০২০ সালের যৌথ কর্মপরিকল্পনা (জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বা জেআরপি) ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সহযোগী এনজিওগুলো। গতকাল মঙ্গলবার জেনেভায় মানবাধিকার সংস্থার সদর দফতরে এই চতুর্থ যৌথ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোর প্রচেষ্টা এবং সফলতার ভিত্তিতে এ বছর ৮৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল গঠনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় ৮ লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয়দানকারী প্রায় ৪ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাংলাদেশির চাহিদা পূরণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যে তহবিলের জন্য আবেদন করা হয়েছে তার প্রায় ৫৫ শতাংশই প্রয়োজন হবে খাদ্য, আশ্রয়ণ, নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশনসহ প্রয়োজনীয় জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য; আর শুধু খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মোট তহবিলের প্রায় ২৯ শতাংশ ব্যয় হবে। এছাড়াও স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, শিক্ষা, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি এবং পরিবেশ-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০১৭-তে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসার পর বাংলাদেশে অবস্থানরত বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য এটি নির্বাসনের তৃতীয় বছর। রোহিঙ্গারা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, তারা নিজ দেশে ফেরত যেতে চান; তবে তা নির্ভর করছে তাদের এবং পরিবারের নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার লাভের সুযোগ এবং মিয়ানমারে নাগরিকত্ব প্রাপ্তির নিশ্চয়তার ওপর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০-এর জেআরপির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের আগমনের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী যেসব ইস্যুতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই ইস্যুগুলোকে এই যৌথ কর্মপরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের জন্য সেবামূলক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, টেকসই জীবিকার সুযোগ, জ্বালানি বিষয়ক কর্মকান্ড এবং পরিবেশ পুনর্গঠনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার রোহিঙ্গা শিবিরে শরণার্থীদের জীবনমানের বাস্তবিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারগুলো রান্নার জন্য বর্তমানে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহার করছে। এর ফলে রান্নার কাজে জ্বালানি কাঠের ব্যবহার চমৎকারভাবে ৮০ শতাংশ কমে গেছে।
২০১৯ সালের জেআরপিতে ৯২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের আবেদন করা হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে ৭০ শতাংশের কিছু বেশি বা ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগৃহীত হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।