পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জে শশুরের কাছে ব্যবসার জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে একমাত্র শ্যালককে হত্যার অভিযোগে দায়ের মামলার পলাতক আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজকে দীর্ঘ ৯ বছর পর সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত সোমবার দিবাগত রাতে সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজ (৩৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার ডাঙ্গাপুর কালীবাড়ী গ্রামের মৃত আ. গাফফার রহমানের ছেলে। র্যাব জানায়, দীর্ঘ ৯ বছরের মধ্যে পলাতক হাফেজ তার নাম ও বাবার নামসহ যাবতীয় ঠিকানা পরিবর্তন করে মো. নবী হোসেন, ধামরাই থানার চৌহাট বাইনা গ্রামের মো. মেহেদী হাসানের ছেলে পরিচয়ে বসবাস করে আসছিলো। ২০১১ সাল থেকেই এই ঠিকানা ব্যবহার করে সাভারে বসবাস করলেও কারও কোন সন্দেহ হয়নি।
র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজ ২০০৬ সালে সোনারগাঁও থানা এলাকার হাজী মো. আব্দুল্লাহর মেয়ে রিভা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ব্যবসা করার জন্য শ্বশুরের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় একমাত্র শ্যালক মো. মাহফুজুর রহমান ওরফে রিফাতকে (১৯) কৌশলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় মেয়ে জামাই হাফিজুরকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের পহেলা মে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা হাজী মো. আব্দুল্লাহ। মামলার ৫ আসামি গ্রেফতার হলেও পালিয়ে যায় প্রধান আসামি হাফিজুর।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর ছদ্মবেশে নতুন পরিচয়ে সাভারে বসাবাস করে আসছিলো সে। পরে গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর নিজের আসল পরিচয় অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করে হাফেজ। সে সাভারে জমি কেনাবেচার ব্যবসার পাশাপাশি ধামরাইয়ে একটি কারখানায় চাকরি করত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।