পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঠেকাতে বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো সভা সমাবেশ ও বিবৃতি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
সমমনা ইসলামী দল সমূহ এর নেতৃবৃন্দ গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ভারতের গুজরাট, কাশ্মীর এবং দিল্লির গণহত্যার মূল খলনায়ক ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে প্রতিহত করতে অনড় রয়েছে সমমনা ইসলামী দলসমূহ। বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে সফরের চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়ায় আমরা হতবাক হয়েছি। সরকার যদি মোদির ঢাকা সফর বাতিল না করে তাহলে যে কোন মূল্যে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে মোদির ঢাকা আগমনকে প্রতিহত করবই ইনশাআল্লাহ। যৌথ বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড আহমদ আব্দুল কাদের, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোস্তফা তারিকুল হাসান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজসি : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও সমমনা ইসলামী দলসমূহের অন্যতম নেতা মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, দিল্লীতে মুসলমানদের হত্যা, মসজিদ, ঘরবাড়ি জালিয়ে দেয়া হবে আর মোদি মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে অতিথি হবে তা এদেশের মানুষ মেনে নিবে না। তিনি বলেন, শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকীতে যে কাউকে দাওয়াত করেন আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্ত মুসলিম হত্যাকারী, সন্ত্রাসী, জঙ্গি মোদিকে কোনোভাবে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে বিমানবন্দর ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে। তিনি বলেন, ভারতে মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি আগামী ৬ মার্চ দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ঢাকার বায়তুল মোকাররমে গণমিছিল সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি গতকাল দুপুরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমমনা ইসলামী দলসমূহের মোহাম্মদপুর জোনের উদ্যোগে মুহাম্মদপুর টাউন হলে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা তালহা, মাওলানা যোবায়ের, মুসলিমলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আকবর আলী পাঠান।
ইসলামী আন্দোলন : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ভারতের মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধেও আরো একটি লড়াই করতে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আর এই লড়াইয়ে মুসলমানদের বিজয় হবে। প্রিন্সিপাল ইউনুছ আহমাদ বলেন, মুজিববর্ষ অনুষ্ঠানে বিশ্ব সন্ত্রাসী, মানবতার দুশমন নরেন্দ্র মোদিকে আনার যে চক্রান্ত চলছে তা থেকে সরকারকে বিরত থাকতে হবে। মসুলমানদের রক্তে রঞ্জিত রক্ত পিপাসু মোদিকে এনে মুজিববর্ষকে কলঙ্কিত করলে তা হবে মুসলিম উম্মাহর জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। কাজেই দেশের বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা বিরোধী মোদিকে প্রত্যাখান করুন তাতে দেশ, ইসলাম ও মানবতার কল্যাণ হবে। প্রয়োজনে মুসলিম বিশ্বের কাউকে এনে শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করুন। তাহলে সকলেই সহযোগিতা করবে।
গতকাল সোমবার পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সদ্যকারামুক্ত ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে দেয়া সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, যুব আন্দোলনের সভাপতি কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা নেছার উদ্দিন।
বাংলাদেশ মুসলিম সমাজ : গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের উদ্যোগে ভারতীয় বিতর্কিত আইন এন.আর.সি, সি.এ.এ বাতিল, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ, মুসলিম গণহত্যা বন্ধ, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ডাঃ মুহাম্মদ মাসুদ হোসেন বলেন, ভারতের বিতর্কিত আইন এন.আর.সি, সি.এ.এ’র মাধ্যমে ভারত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করছে। যার মাধ্যমে এই অঞ্চল সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতের নয়াদিল্লিসহ অনেক রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অগণিত মুসলিমদেরকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে। আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই, অনতি বিলম্বে ভারতের এই হীন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।