পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকার ইতোমধ্যে মংলা বন্দরের সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। তিনি দেশের উদ্যোক্তাদের এ বন্দর আরো বেশি হারে ব্যবহারের আহবান জানান। একই সঙ্গে সরকার গৃহীত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)-এর কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং নির্ধারিত সময়ে মানসম্মত এডিপি বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের কৌশলপত্র প্রদানের আহ্বান জানান। এছাড়াও মন্ত্রী পিপিপি’র আওতায় সরকার গৃহীত অবকাঠামো প্রকল্পসমূহে বিনিয়োগের জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার কথা বলেন। এম এ মান্নান বলেন, সম্প্রতি লন্ডনের পুঁজিবাজারে বাংলা বন্ড চালু হয়েছে, যা দেশি-বিদেশী উদ্যোক্তাদের মাঝে আসার সঞ্চার করেছে এবং এ নিয়ে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সরকার গৃহীত বড় ধরনের অবকাঠামো প্রকল্পসমূহের অর্থায়নে বন্ড অনেক কার্যকর অবদান রাখবে বলে মত প্রকাশ করেন।
সোমবার (২ মার্চ) পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি শামস মাহমুদ-এর নেতৃত্বে পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা পরিকল্পনা কমিশনে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করলে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকর্ষনে অবকাঠামো উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। তিনি জানান, গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার হাব রিপোর্ট-এর হিসাব মতে, ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো বিশেষ করে সড়ক জল ও রেলপথ, বন্দর, জ্বালানী, টেলিকম খাতের উন্নয়ন প্রায় ৬০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা প্রয়োজন এবং এ ধরনের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর অর্থায়নে সরকারকে অধিকাংশক্ষেত্রেই সরকারী কোষাগার সহ ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হয়। যার ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উপর চাপ পড়ে। এ অবস্থা উত্তরণে বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়নে ডিসিসিআই বন্ড ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন, যার ফলে বড় অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন আরো সহজতর হবে। এছাড়াও তিনি ব্লু ইকোনোমির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য এ খাতে গবেষণা প্রণয়ন ও বিনিয়োগের জন্য ‘ব্লু বন্ড’ চালুর প্রস্তাব করেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, নূহের লতিফ খান, ইঞ্জি. মো. আল আমিন, আরমান হক, মো. জিয়া উদ্দিন, এস এম জিল্লুর রহমান, দীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, মনোয়ার হোসেন এবং মো. সাহিদ হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।