পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও কাঙ্খিত মাত্রায় বেসরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে না, উপরন্তু বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের হার নিন্মমুখী বলে দাবি করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাতকালে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি শামস মাহমুদ এসব কথা বলেন।
শামস মাহমুদ বলেন, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের হার ২০১৯ সালের নভেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নিন্মহারের মূল কারণ ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চ হার। বেসরকারীখাতের বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটানোর জন্য ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, অন্যান্য তফসিল ও বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যস্থতায় চলতি বছরের ১ এপ্রিল হতে এটি কার্যকর করার জন্য সকলের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। একই সঙ্গে খেলাপী ঋণ কমাতে ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি চিহ্নিতকরণে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি বের করতে হবে। এসএমই খাতকে দেশীয় শিল্পের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখাতের উদ্যোক্তাদের রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ঋণ প্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশিরভাগ ব্যাংক ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। অর্থনীতি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সকল জনগনের অবস্থার উন্নয়নে সরকার সিঙ্গেল ডিজিট হারে ঋণ সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গভর্নর আশা প্রকাশ করেন, সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগামী ১ এপ্রিল হতে সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে।
খেলাপি ঋণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ইচ্ছাকৃত ও অনিচছাকৃত ঋণ খেলাপি চিহ্নিতকরণে আইনে সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে, তবে কোন উদ্যোক্তা যদি বিদ্যুৎ, জ্বালানী, গ্যাস সংযোগ অথবা ব্যাংক ঋণ প্রভৃতি সেবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পেয়ে যদি কোন উদ্যোক্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ হন, সেটি বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। তবে তিনি সত্যিকারের ঋণ খেলাপী চিহ্নিতকরণে ব্যাংকসমূহের যতœবান হওয়া আবশ্যক বলে মত প্রকাশ করেন। বন্ড মার্কেট বিষয়ে ফজলে কবির বলেন, সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্ট্যাম্প ডিউটির প্রত্যাহার করেছে, যা বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট সম্প্রসারণে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। দেশে একটি সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট চালু একান্ত জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রিফর্ম
অ্যাডভাইজর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিং ইকোসিস্টেম, সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং প্রাক্কলিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশে ব্যাংক প্রতিনিয়ত নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।