Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পীরগাছায় বিদ্যালয় সংস্কার

প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
রংপুরের পীরগাছায় সংস্কারের নামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজোশে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে প্রায় সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে সংস্কারের জন্য এসব টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী-৩-এর আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত অর্থ বৃহত্তম মেরামতের জন্য ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। টয়লেট মেরামতের জন্য ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা। বিদ্যালয় শিখন কার্যক্রম উন্নয়ন পরিকল্পনার (স্লিপ) জন্য ১৭৯টি প্রতিষ্ঠানে ৭১ লাখ ৬০ হাজার। প্রাক-প্রাথমিকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৭৯টি প্রতিষ্ঠানে ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও রুটিন মেরামতের জন্য ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সরেজমিন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন কাজ করা হয়নি। ৩০ জুনের মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে বরাদ্দ পাওয়া অর্থ উত্তোলনের করা হয়। কাজ না করেই সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের যোগসাজোশে ৩০ জুনের মধ্যে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে এসব বরাদ্দ পাওয়া অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। রুটিন মেরামতে জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকগণ পরিকল্পনা পত্রের জন্য নিয়মিত উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে ঘুরেও তা এখান পাননি। টয়লেট সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের টয়লেট সংস্কারের কাজ না থাকলেও বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ পাওয়া অর্থ  ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে পাওয়া গেছে। মেরামত কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীগণ প্রকাশ্যে মোট বরাদ্দের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত উৎকোচ আদায় করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্লিপের ৪০ হাজার টাকা এক সাথে প্রদান করা হলেও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা কাজ না করেই আত্মসাতের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সাথে সমন্বয় করে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা কাজ না করে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে প্রায় সোয়া কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ফলে সরকারের নেয়া এসব সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিক-উজ জামান বলেন, কাজ সময় মত শেষ হবে। উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, কাজ শুরু না হলেও ৩০ জুনের মধ্যে সংস্কারের বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া অর্থ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সময় মত কাজ করে নিবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ