রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মোঃ গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ঈদুল ফিতর শেষ হলেও ঈদের রেশ দই ও মিষ্টির দোকানে পড়েছে। এতে দই ও বিভিন্ন মিষ্টির চাহিদা যেমন বেড়েছে দামও তেমন বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা সদরের বিভিন্ন দই ও মিষ্টির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দই ও মিষ্টির দাম চড়া হলেও চাহিদা বেশি হওয়ায় বেচাকেনা হচ্ছে প্রচুর। দই সুস্বাদু হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা এলাকায় অনেক। খাঁটি দুধ আগুনে জাল দিয়ে অভিজ্ঞ কারিগররা দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় এই দই তৈরি করে থাকেন। ঈদের পর বাড়িতে অতিথিদের আপ্যায়নে দইয়ের স্বাদ না নিয়ে কেউ ফিরে যেতে চান না। আবার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া এবং জামাই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসার সময় এই দই ও মিষ্টির বিকল্প নেই। দাম বেশি হলেও প্রয়োজনের তাগিদেই সবাই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। উপজেলা সদরে বিভিন্ন দই ও মিষ্টির দোকানগুলোর মধ্যে রিপন হোসেন বাবুর মালিকানাধীন রিপন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, আবু রায়হান আলী খন্দকারের নিউ দুলালী দই অ্যান্ড মিষ্টি ঘর, আলহাজ খাদেম আলীর এশিয়ান দই ঘর, আবু জাফর খন্দকারের দুলালী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, আবু কালামের ফাতেমা দই ও মিষ্টি মেলা ঘর, বন্দর তে-মাথার জয়দেব ঘোষের জয় দধি ও মিষ্টান্ন ভা-ার, নরেন্দ্র চন্দ্র ঘোষের পলাশের দধি ও মিষ্টান্ন ভা-ারসহ বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। এসব দোকান থেকে ঈদ-পরবর্তী ক্রেতারা তাদের চাহিদা মতো দই ও মিষ্টি কিনছেন। কিন্তু দাম আগের চেয়ে বেশি হওয়ায় তারা কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এ ব্যাপারে দই ও মিষ্টির দোকানের মালিকরা জানান, ঈদের পর দুধের ও চিনির দাম বেশি হওয়ায় দই ও বিভিন্ন মিষ্টি সামগ্রীর দাম কিছুটা বেড়েছে। সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিউ দুলালী দই ও মিষ্টি ঘরের মালিক আবু রায়হান খন্দকার জানান, ঈদের ২ থেকে ৩ দিন আগে থেকে ঈদ-পরবর্তী ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত বাজারে দুধের দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কেনাবেচা হচ্ছে। দই ও মিষ্টি তৈরির প্রধান উপকরণ দুধ। এই দুধের দাম বেশি হওয়ায় দই ও বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি সামগ্রীর দাম একটু বেশি নিতে হচ্ছে। এদিকে দই মিষ্টি কিনতে আসা ক্রেতা উপজেলা সদরের পুরাতন বাজার এলাকার বিশিষ্ট ব্যাংকার ও ক্রীড়া সংগঠক আজিজুল হক, সুখানগাড়ী গ্রামের ডা. কে এম বেলাল “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে দই ও মিষ্টি কিনতে এসেছেন। আগের চেয়ে প্রতি কেজি দই ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও মিষ্টি ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। তারা আরো জানান, যে দই ঈদের আগে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হতো সেই দই এখন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে কিনছি। এ ছাড়াও রসগোল্লা, কাটা চমচম ১৮০ টাকা কেজি ও পন্সমিষ্টি ২২০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন। যা ঈদের আগের চেয়ে প্রতি কেজি ৪০ টাকা বেশি। ধর্মীয় উৎসবের কথা ও সামাজিকতা রক্ষার্থে দাম বেশি হলেও সবাই এই দই ও মিষ্টি কিনতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে ঈদ শেষ হলেও উপজেলার দই ও মিষ্টির দোকানগুলোতে ঈদের রেশ চরমভাবে পড়েছে। এদিকে এক শ্রেণীর মৌসুমি ব্যবসায়ীর অধিক মুনাফার আশায় নি¤œমানের দই বাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার দইয়ের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীরা এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমাতে প্রশাসনের তদারকিসহ নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।