Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে রিয়াল

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২০, ৪:০৩ এএম

প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোন দল। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত সেভ করেছেন ডি গিয়া ও কোর্তায়া। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস জুনিয়র ফাঁকি দিলেন বার্সা গোলরক্ষককে। তার গোলই ভাগ্য নির্ধারন করে দিল ম্যাচের। ম্যাচের একদম শেষ মুহুর্তে মারিয়ানা ডিয়াজ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। লিওনেল মেসি, গ্রিজম্যান ও আর্থারের গোল মিসের মহড়ায় পেরে উঠল না বার্সেলোনা।

রোববার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লা লিগার ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে কিকে সেতিয়েনের দলকে। লিগে ২ পয়েন্টে এড়িয়ে থাকা বার্সেলোনাকে টপকে লা লিগায শীর্ষে এখন জিনেদিন জিদানের দল। সমান ২৬ ম্যাচ খেলে রিয়ালের পয়েন্ট ৫৬, বার্সার ৫৫। শুধু পয়েন্ট টেবিলেই নয়, লা লিগায় মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ১৮০ বারের দেখায় রিয়ালের ৭৩ জয়ের বিপরীতে বার্সার জয় ৭২টি। বাকি ৩৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

মাঠের লড়াইয়ে দুই দলই দুটি করে পরিবর্তন আনে। বার্সা কোচ কিকে সেতিয়েনের শিবিরে জুনিয়র ফিরপো ও ইভান রাচিকিচের বদলে শুরুতে দেখা যায় জর্ডি আলভা ও আর্থারকে। জিনেদিন জিদান তার মূল একাদশে মার্সেলো-টনি ক্রুসকে নামিয়েছেন, ফারল্যান্ড মেন্ডি ও লুকা মদরিচকে বসিয়ে। কিন্তু দুই দলের কোচই আক্রমণাত্বক কৌশলকে মাথায় রেখে ৪-৩-৩ ফরমেশনে সাজিয়েছেন।

ম্যাচের শুরু থেকেই সমান তালে লড়াই করতে থাকে বার্সা ও রিয়াল। তবে গোছালো আক্রমণ করতে পারছিল না কোন দলই। এর মধ্যে ১০ মিনিটের মাথায় ভিনিসিউস জুনিয়র দেখেন হলুদ কার্ড। এর ঠিক নয় মিনিট পর দানি কার্ভাজাল ও জর্ডি আলভাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। তারপরও চলতে থাকে খেলা।

৩৩মিনিটের মাথায় এক হলুদ কার্ড দেখা আলভা ট্যালেকট করতে গিয়ে ফাউল করে বসেন। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল তার। রেফারির চক্ষু ফাঁকি দিয়ে যাওয়ায় লাল কার্ড দেখা থেকে বেঁচে যান তিনি। তবে রিয়ালের মাঠে সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাদের গর্জনে পুরো স্টেডিয়াম কম্পিত হতে থাকে। এর মিনিট খানেক পরই রিয়াল মাদ্রিদকে পিছিয়ে পরার হাত থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক কোর্তয়া।

প্রথমার্ধের শেষদিকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও জাল খুঁজে পাননি আর্থার। সুযোগ হাতছাড়া করেছেন লিওনেল মেসিও। প্রথমার্ধ থেকে যায় গোলশূণ্য।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করে বার্সেলোনা। বেশিরভাগ সময় পায়ে বল রেখে আক্রমণে যায় তবে ভাঙতে পারেনি রিয়ালের জমাট রক্ষণ। শুরুতে নিজেদের গুটিয়ে রাখা রিয়াল ধীরে ধীরে আক্রমণে যায়।

৫৫তম মিনিটে ইসকোর বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ম্যাচে এটাই ছিল বার্সেলোনা গোলরক্ষকের প্রথম বড় পরীক্ষা।

৬১তম মিনিটে আবার বেঁচে যায় বার্সেলোনা। এবার ত্রাতা পিকে। ইসকোর হেড ঠিক মতো বিপদমুক্ত করতে পারেননি টের স্টেগেন। বল চলে যাচ্ছিল জালে। গোল লাইনের সামনে থেকে ঠেকিয়ে দেন পিকে। পরের মিনিটে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ভলি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বেনজেমা।

বদলি নেমেই জালের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন মার্টিন ব্রাথওয়েট। মার্সেলোকে কাটিয়ে ফাঁকি দিয়েছিলেন কর্তোয়াকে। তবে রাফায়েল ভারান ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে।

৭২তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। ক্রুসের কাছ থেকে বল পান ভিনিসিউস জুনিয়র। অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ডের শট স্লাইড করা পিকের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না বার্সেলোনা গোলরক্ষকের।

৭৫তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে সমতা আনার সুযোগ আসে মেসির সামনে। মার্সেলো ও ভারানের যৌথ চেষ্টায় বেঁচে যায় রিয়াল। ৮৩তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পিকে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে জালের দেখা পেলেন মারিয়ানো দিয়াস। ২-০ ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ