প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
পশ্চিম বঙ্গের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী টিভি চ্যানেলের দুটি ধারাবাহিক অবিভক্ত বাংলার প্রথম বাঙালি নারী চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলী চরিত্রটি নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছে। ‘বকুল কথা’ খ্যাত উষসী রায় এই চরিত্রে অভিনয় করবেন জি বাংলার ‘কাদম্বিনী’তে আর ‘ইচ্ছে নদী’ খ্যাত সোলাঙ্কি অভিনয় করবেন স্টার জলসার ‘প্রথমা কাদম্বিনী’তে। জি বাংলা প্রথম উষসীকে প্রধান ভূমিকায় নিয়ে ‘কাদম্বিনী’র প্রোমো দেখাতে শুরু করে। এর পরপরই স্টার জলসা টিজার প্রচার করতে থাকে। তারাও প্রথমে ‘কাদম্বিনী’ নামে ধারাবাহিকটির নামকরণ করে। একই নামে ধারাবাহিক বা চলচ্চিত্রের নাম হয়নি এমন নয়, বিশেষ করে চরিত্রটি যদি বাস্তব কোনও চরিত্রভিত্তিক হয় তাতে দোষের কিছু হবার কথা নয়। তবে স্টার জলসা শেষে সিদ্ধান্ত বদলে তাদের ধারাবাহিকের নাম রাখে ‘প্রথমা কাদম্বিনী’, সেইভাবে তারা প্রোমো প্রচারও শুরু করে। ব্রিটিশ আমলের অবিভক্ত বাংলার প্রথম মহিলা চিকিৎসক ডা. কাদম্বিনী গাঙ্গুলী। বিহারের ভাগলপুরে জন্মগ্রহণ করলেও কাদম্বিনীর পরিবারের আদি নিবাস ছিল বরিশালের চাঁদসি। ব্রিটিশ আমলের রক্ষণশীল সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কাদম্বিনী এবং চন্দ্রমুখী বসু কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দুই নারী গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন (১৮৮৩)। কাদম্বিনী ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় নারী চিকিৎসক। তার আগে বোম্বের আনন্দি গোপালরাও জোশি ডাক্তারি পাশ করেন। কাদম্বিনীর কথা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল তার ‘হাউ ইন্ডিয়া রট ফর ফ্রিডম’ বইতে উলেখ করেছেন। এছাড়া ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক অ্যানি বেসান্টও কাদম্বিনীর কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।