পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাসূল (সা.) সকল ক্ষেত্রে আমাদের আদর্শ। তিঁনি হচ্ছেন, পবিত্র ও নির্মল জীবনের নমুনা। ব্যক্তি জীবন পারিবারিক জীবন সামাজিক জীবন থেকে শুরু করে সর্ব ক্ষেত্রে রাসূল (সা.) এর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে। রাসূল (সা.)-এর মহান চরিত্রের সনদ স্বয়ং রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, নিঃসন্দেহে আপনি মহান চরিত্রে অধিকারী, মহান আখলাকের অধিকারী। গতকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার খুৎবাহ পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম এসব কথা বলেন। এছাড়া ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতিত মুসলমানদের জান মাল রক্ষায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম বলেন, রাসূল (সা.)-এর উত্তম চরিত্রের সংঙ্গা দিয়েছেন আম্মাজান আয়েশা সিদ্কিা (রা.)। তিনি বলেছেন, কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র। রাসূল (সা.) নিজেই বলেছেন, আমি উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দান করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি। কোরআনুল কারীমে অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের (সা.) মাঝে রয়েছে উত্তম অনুসরন। অর্থাৎ তিঁনিই উম্মাহের আদর্শ তাঁর অনুসরনই কাম্য। রাসূলে কারীম (সা.) সকল উত্ম আদর্শেও উজ্জল দৃষ্টান্ত।
পেশ ইমাম বলেন, সত্যবাদিতার পুরস্কার ঘোষণা করে স্বয়ং রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের পক্ষ থেকে আমার (কথামত) ছয়টি বিষয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করো তাহলে আমি তোমাদের জন্য বেহেশতে প্রবেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবো। এগুলো হচ্ছে প্রথমত কথা বলার সময় সত্য কথা বলবে, অঙ্গীকার করলে তা’পূরণ করবে, আমানত রাখা হলে তা আদায় করবে, লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে, দৃষ্টি অবনত রাখবে এবং হাত সংযত রাখবে। জুমার নামাজ শেষে মোনাজাতে পেশ ইমাম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতিত মুসলমানের জান মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ দোয়া করেন। এসময়ে মুসল্লিরা আমিন আমিন বলে চোখের পানি ফেলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।