Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীরি আপেল কুল রাঙিয়েছে লালপুর

উৎপাদনকারী চাষিরা ব্যস্ত বাজারজাতে

মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৪ এএম

নাটোরের লালপুরে বাণিজ্যিকভাবে এই প্রথম নতুন জাতের কাশ্মীরি আপেল কুল বরইয়ের চাষ হয়েছে। দেখতে মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রং আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি এবং অনেকটা বাউকুলের মতো। 

উপজেলায় এর আগে আপেল কুল ও বাউকুলের চাষ হলেও নতুন জাত কাশ্মীরি আপেল বরইয়ের চাষ এবারই প্রথম। প্রচলিত আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এই কাশ্মীরি আপেল কুল।
নতুন এ জাতের বরই চাষ করে সফল হয়েছেন লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আজমুল হাসান আজাদ নামের এক কৃষক। সে ওয়ালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ডা. জাকির হোসেনের ছেলে।
সরেজমিনে আজাদের কাশ্মীরি আপেল কুলের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, নতুন জাতের এই কুলের সবুজ গাছে থোকায় থোকায় হালকা হলুদের ওপর লাল রঙের মাঝারি কাশ্মীরি আপেল কুলে বাগান ভরে গেছে। বরইয়ের ভারে গাছ মাটিতে নুইয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যে বাগান থেকে বরই বিক্রি শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা বাগানে গাছ থেকে বরই তোলা ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত। বাগানের মালিক আজমুল হাসান আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, ‘গত বছরের চৈত্র মাসে বাহিমালি থেকে ২৪ হাজার ৫০০ টাকায় ৭০০ চারা কিনেছিলেন। চারগুলো ৩ বিঘা জমিতে রোপন করেন। রোপনের ৬ মাস পরই গাছে ফল আসে।
তিনি আরো জানান, চারা লাগানো ও পরিচর্যা দিয়ে ৩ বিঘা জমিতে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪০ মণ কুল ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। বাম্পার ফলন হওয়ায় তিনি আশা করছেন প্রায় ৩ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন। আগামীতে ফলন আরো বেশি হবে।
সাধারণত আপেল কুল ও বাউকুল পাইকারিতে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু নতুন জাতের কাশ্মীরি কুলের পাইকারি বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা প্রতি কেজির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আজাদের কাশ্মীরি আপেল কুলের চাষ দেকে এলাকার অনেকেই এই কুল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
কাশ্মীরি আপেল কুল বাগান পরিদর্শন করে লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে এই প্রথম নতুন জাতের এই কাশ্মীরি আপেল কুলের চাষ হয়েছে। উপজেলার বেকার শিক্ষিত যুবকরা কুল চাষ করলে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, পাশাপাশি উপজেলার অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। যারা কুল চাষে আগ্রহী তাদের কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।

 



 

Show all comments
  • Monjur Rashed ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:৪৬ পিএম says : 0
    Inspirational report
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাষ

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৫ আগস্ট, ২০২২
২৩ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ