রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান রানাকে মারপিট করে হাত-পা ভেঙে চোখ উপড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার শেখপাড়া বাজার এলকায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারিরা বলেন, রানার ওপর বর্বর হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানানো হয়। মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় নেতৃত্ব দেন রানার বড়ভাই মো. ফারুক হাওলাদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, আ.লীগ নেতা মোশারেফ হোসেন, মোস্তফা হাওলাদার, খোকন হাওলাদার, মনিরুজ্জামান বিজয়, বাহাদুর খান, খায়রুল ইসলাম বাবু, শাহিদা বেগম, রোকেয়া বেগম, ফরিদা বেগম প্রমুখ। বক্তারা এ হামলার জন্য বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও তার স্বজনদেরকে দায়ি করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলে রানার ২ শিশু কন্যা শাহারা আক্তার (৮) ও তামান্না আক্তার (৬) অংশগ্রহণ করে পিতার উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ।
জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপনির্বাচনে বাগেরহাট-৪ আসনের আ.লীগের প্রার্থী অ্যাড. আমিরুল আলম মিলনের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে রানার উপর হামলা চালিয়ে হাত-পা ভেঙে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একটি চোখ উপড়ে ফেলে অপরটি খুচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
রানা এখন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় রানার বড় ভাই ফারুক হাওলাদার বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।