পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণভবনের সরাসরি হস্তক্ষেপে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাননি বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসার অভাবে এখন প্রায় পঙ্গু হয়ে গেছেন। কেবল উন্নত চিকিৎসার জন্যই নয়, তিনি একজন মহিয়সী নারী, তাঁর বয়স, অসুস্থতাসহ সকল বিবেচনায় তিনি জামিনের যোগ্য হলেও গণভবনের সরাসরি হস্তক্ষেপে জামিন পেলেন না। তাঁকে জামিন দেয়া হয়নি। আবারো তাঁকে তাঁর মানবাধিকার, মৌলিক সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো। এটা গোটা বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আইনী অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে শুধুমাত্র হিংসার বশবর্তী হয়ে। নিম্ন থেকে সর্বোচ্চ আদালত আজ অবরুদ্ধ মিডনাইট ভোট ডাকাতদের করতলে। দেশের জনগণ বিশ্বাস করে, আদালতের ন্যুনতম স্বাধীনতা থাকলে বেগম খালেদা জিয়া জামিন পেতেন। এই বাংলাদেশে ফাঁসির আসামিরাও জামিন পায়। শত শত কোটি টাকা লুট করা ব্যক্তিরাও জামিন পায়। অথচ একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সা আর প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে নিজের পছন্দমতো সুচিকিৎসার সুযোগ দিতে জামিনও দেয়া হচ্ছেনা। মাত্র দুই কোটি টাকা অনিয়মের সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ এনে দেশনেত্রীকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে, অথচ সেই দুই কোটি টাকা ব্যাংকে সুদে আসলে বেড়ে এখন আট কোটি টাকার বেশী হয়েছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যিনি তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবন ব্যয় করেছেন, এমন একজন নেত্রী আজ ভোট লুটেরাদের প্রতিহিংসা, অনাচার আর জুলুমের শিকার। এমন জুলুম বাংলাদেশ আর কখনোই দেখেনি। নিশিরাতের সরকারের মন্ত্রীরা আদালতের দোহাই দিয়ে জামিন না দেয়ার পক্ষে নানারকম গালগল্প করছেন। অথচ দেশের জনগণ সাক্ষী এই আদালতের সিটিং প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সাথে সরকারের ভিন্নমত হওয়ার কারণে চ্যাংদোলা করে বিদেশে তাড়িয়ে দিয়েছিলো গানপয়েন্টে। এখন যারা বিচারপতির আসনে, সাবেক প্রধান বিচারপতির পরিণতি দেখে তারা সঠিক রায় দেয়ার সাহস করছেন না। স্বৈরাচারের মন রক্ষা করে সাময়িক সুবিধা হয়তো পাওয়া যায় কিন্তু তাদের পরিণতি হয় অত্যন্ত অপমানজনক, সাবেক প্রধান বিচারপতি তার জলন্ত উদাহরণ। এখনও যারা স্বৈরাচারের ইচ্ছে পূরণের হাতিয়ার হিসেবে নিজেদেরকে ব্যবহার করছেন তাদের পরিণতিও ভালো হতে পারেনা তাদের পরিণতিও অপমানজনক হতে বাধ্য। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
তিনি বলেন, মানুষের আশা ভরসার শেষ জায়গা যদি এমন হয় তাহলে মানুষের শেষ আশ্রয় কোথায় ? বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে। খালেদা জিয়া যেভাবে সরকারের তত্ত্বাবধানে আদালতের অবিচারের শিকার হচ্ছেন, এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার যদি আরো বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যায়, তাহলে জনগণ কাউকেই ক্ষমা করবেনা। গণতান্ত্রিক শাসন আর ন্যায়বিচারের সকল পথ রুদ্ধ হয়ে গেলে জনগণ তখন আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিশিরাতের সরকার আসলে কি চায় এটাই এখন জনগণের সামনে বড় প্রশ্ন। আপনাদের মনে আছে, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশেও বর্তমান সময়ের মতো ঠিক একই রকমের পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো। সেই সময়ও মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলগুলোর অস্তিত্ব ছিল বাদের খাতায়। ক্ষমতাসীনদের কথায়-ই ছিল আইন। এমন পরিস্থিতিতে সেই সময়কার বিরোধী দল জাসদ গণবাহিনী গঠন করে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি কোনো সশস্ত্র রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তাই আমাদের দলের নেতাকর্মীরা শত নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ থেকে বিচ্যুৎ হয়নি। আমরা আশা করি, নিশিরাতের সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেনা। আমরা আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে সসম্মানে নিঃশর্ত মুক্তি দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।