পুঁজিবাজারে আসছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করবে তারা। এ লক্ষ্যে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি ওয়ালটনের আইপিও শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য বা কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ শুরু হচ্ছে আগামী ২ মার্চ বিকাল ৫ টা থেকে। চলবে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত। এদিকে, যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (এলিজিবল ইনভেস্টর) অংশগ্রহণের মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের জন্য ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রæয়ারি ২০২০) ডিএসই-এর নিকুঞ্জ অফিসে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার। ডিএসই-এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির এসিস্টান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুল লতিফ। আর সিএসই-এর জেনারেল ম্যানেজার (হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. গোলাম ফারুক নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী সানাউল হক, চিফ অপারেটিং অফিসার এম সাইফুর রহমান মজুমদার, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার আবদুল মতিন পাটোয়ারি, ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. ইয়াকুব আলী, অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. ফাহিম মাহবুব, কোম্পানি সচিব পার্র্থ প্রতিম দাশসহ ইস্যু ম্যানেজার ট্রিপল এ ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, রেজিস্ট্রারার টু ইস্যু প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ওয়ালটন। এ অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানউন্নয়ন, ব্যাংক লোনের আংশিক দায় পরিশোধ এবং আইপিও খরচ সংকুলানে ব্যয় হবে।