নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আশঙ্কাই সত্যি হল। আইপিএলের প্রবীণতম ক্রিকেটার প্রবীণ তাম্বেকে আসন্ন আইপিএলে পাচ্ছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ২০১৮ সালে শারজায় টি-টেন লিগে খেলার শাস্তি হিসেবে এই নির্বাসনে পাঠানো হল তাকে। বিশ্বের অন্যত্র টি-টোয়েন্টি বা টি-টেন লিগে কেবলমাত্র অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটাররাই খেলতে পারেন। বোর্ডের নিয়ম এমনটাই। তবে বোর্ডের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিদেশের টি-টেন লিগে অংশ নেওয়াই সমস্যার হয়ে দাঁড়াল তারকার।
ঘটনা হল, ২০১৭ সালে শেষবার আইপিএলে খেলেছিলেন তিনি। তিনি সেই বছরেই অবসর ঘোষণা করেছিলেন। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিদেশে লিগে খেলার অনুমতি জোগার করে নিয়েছিলেন। যদিও সেই টুর্নামেন্টের পরেই আবার অবসরের সিদ্ধান্ত ভেঙে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন তিনি। মুম্বাই লিগে অংশও নিয়েছিলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে আইপিএলের নিলামে তাম্বেকে বেস প্রাইস ২০ লক্ষ টাকায় কেনে কেকেআর। জানা গিয়েছে, প্রবীণ তাম্বেকে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রশাসনে ছিল একটি অ্যাড হক কমিটি। বিসিসিআইয়ের গাইডলাইন আনুযায়ী, বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিশ্বের অন্যত্র টি-টোয়েন্টি কিংবা টি-টেন লিগে খেলতে পারবেন না। যদি না কোনও ক্রিকেটার অবসর নিয়ে থাকেন।
আইপিএলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল ইতিমধ্যেই কেকেআরকে জানিয়ে দিয়েছে, তাম্বের নির্বাসনের বিষয়টি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে প্যাটেল জানিয়েছেন, ‘আইপিএলে ওকে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ওঁকে অনুমতি দিলে বাকিদেরও অনুমতি দিতে হবে।’
নিজের যুক্তির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ব্রিজেশ প্যাটেল আরও জানিয়েছেন, ‘বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে কেবলমাত্র একদিনের, তিনদিনের, চারদিনের এবং কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই জন্য অবশ্য বিসিসিআই এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অনুমতি প্রয়োজন হয়।’
৪৮ বছরের তারকা ক্রিকেটার অবশ্য আইপিএলে নতুন নন। এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে আইপিএলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাম্বে অবশ্য আইপিএলে খেলতে মুখিয়ে ছিলেন। আইপিএল নিলামের পরেই সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাম্বে জানিয়েছিলেন, ‘যখন খেলতে নামি তখন ২০ বছরের ক্রিকেটারের মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামি। নিজের অভিজ্ঞতা, শক্তি দলের মধ্যে সঞ্চারিত করি। প্রথম একাদশে না থাকলেও আমি দলের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।