নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দশম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক মেয়েরা। ফলে জয়ের জন্য সালমাদের প্রয়োজন ১৯০ রান।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলাররা পাত্তায় পায়নি অজি দুই ওপেনারের কাছে। শুরু থেকেই টাইগ্রিস বোলারদের উপর চড়াও হয় হেলি এবং মুনি। প্রথম পাওয়ার প্লে থেকেই ৫৩ রান তোলেন এই দুই ওপেনার। এরপরও রানের চাকা থামার কোনো লক্ষ্মণের দেখা মেলেনি। ওভার গড়াতেই সালমা-জাহানারাদের উপর আরো চড়াও হয় অজি এই দুই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন হেলি এবং মুনি। এই দুই ব্যাটসম্যান উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ১৫১ রান।
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত অ্যালিসা হেলি মাত্র ২৬ বলেই পূর্ণ করেন নিজের অর্ধশতক। তাকে যোগ্য সঙ্গী হিসেবে সঙ্গ দিয়েছেন বেথ মুনি। এই দুইয়ের ব্যাটিং ঝড়ে ১০ দশমিক ৪ ওভারেই তুলে নেয় দলীয় শতক। দলীয় রান শতক পার হতেই আরো চড়াও হয় দুই অজি ব্যাটসম্যান। আর এবার যোগ দেন মুনি। হেলির রাস্তায় হেঁটে তুলে নেন নিজের অর্ধশতকও। তবে মুনি অর্ধশতক তুলে নিতে খেলেন ৪০টি বল।
টাইগ্রিসরা যেন এদিন ক্যাচ মিসের মহড়া দিতে মাঠে নামে। একের পর ক্যাচ মিস করে হেলি এবং মুনিকে জীবনদান করতে থাকেন। তবে ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বলে সালমা খাতুনের ঘূর্ণিতে ক্যাচ পয়েন্ট দাঁড়ানো সানজিদা ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন অ্যালিসা হেলি। দলীয় ১৫১ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় অজিদের। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে নামের পাশে মাত্র ৫৩ বলে ৮৩ রান যোগ করেন হেলি। প্রায় ১৫৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা হেলির ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ৩টি ছয়ের মার।
শেষ দিকে অ্যাশলে গার্ডনারের ঝড়ো ৯ বলে ২২ রান এবং বেথ মুনির অপরাজিত ৫৮ বলে ৮১ রানে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি তুলে নেন অধিনায়ক সালমা খাতুন। ৪ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে অ্যালিসা হেলির (৮৩) উইকেটটি তুলে নেন সালমা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।