Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঘরের মাঠে রিয়ালকে হারাল সিটি

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:১৭ এএম | আপডেট : ৪:৩২ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

প্রথমার্ধ ছিল গোলশূণ্য। কোন দলই পায়নি জালের দেখা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়াল মাদ্রিদকে কাঙিক্ষত গোল এনে দিলেন ইসকো। গাব্রিয়েল জেসুসের গোলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো ম্যানচেস্টার সিটি পরে স্পট কিক থেকে গেলো এগিয়ে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে জয় নিয়ে ফিরল পেপ গার্দিওলার দল।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতে সিটি। রিয়ালের বিপক্ষে এই প্রথম ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় জিতল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। সেই সঙ্গে রিয়াল কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে সবগুলো ম্যাচই (১২টি) জয়ের গর্বও ‍গুঁড়িয়ে গেলো জিদানের।

রাহিম স্টার্লিং ও সার্জিও আগুয়েরোকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান পেপ গার্দিওলা। জিনেদিন জিদানের সেরা একাদশে ঠাঁই পাননি ওয়েলসের ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল। শুরু থেকে রক্ষণ জমাট রেখে খেলতে থাকা সিটি প্রথম ভালো সুযোগটি পায় ২১তম মিনিটে। কেভিন ডে ব্রুইনের ডিফেন্স চেরা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গাব্রিয়েল জেসুসের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান থিবো কর্তোয়া।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বড় বাঁচা বেঁচে যায় রিয়াল। ডে ব্রুইনের কর্নারে কর্তোয়া লাফিয়ে উঠে গ্লাভস ছোঁয়ানোর পর পেয়ে যান জেসুস, সিটির এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট রামোসের পায়ে লেগে গোলমুখে যাওয়ার পথে কাসেমিরো টোকা দেওয়ার পর বিপদমুক্ত করেন ফেদেরিকো ভালভেরদে। রিয়ালের এই তিনজনই ছিলেন গোললাইনে পাহারায়।

৬০তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়রের নিখুঁত পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ফাঁকায় থাকা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইসকো। ৭২তম মিনিটে বের্নার্দ সিলভাকে তুলে নিয়ে স্টার্লিংকে নামায় সিটি। রিয়াল ভিনিসিউস জুনিয়রের বদলি নামায় বেলকে।

ছয় মিনিট পর সমতার স্বস্তি ফেরে সিটির তাবুতে। বাঁ দিক থেকে ডে ব্রুইনের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন জেসুস। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সামনে থাকা রিয়াল অধিনায়ক রামোস লাফিয়ে উঠেও বলের নাগাল পাননি। ৮২তম মিনিটে স্পট কিক থেকে সিটিকে এগিয়ে নেন ডে ব্রুইনে। ডি বক্সে স্টার্লিংকে কারভাহাল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। রিয়ালের খেলোয়াড়দের দাবির মুখে ভিএআর দেখলেও বদলায়নি সিদ্ধান্ত।

শেষ দিকে আরেকটি ধাক্কায় রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। ভুল পাস থেকে বল পেয়ে জেসুস ছুটছিলেন রিয়ালের গোলমুখে। তাকে পেছন থেকে টেনে ধরে সরাসরি লালকার্ড দেখেন রামোস। রিয়ালের হয়ে বর্ণিল ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ২৬তম বারের মতো লালকার্ড দেখলেন এই ডিফেন্ডার।

আগামী ১৭ মার্চ ফিরতি লেগে সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ