পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্দোলন-সংগ্রামের পীঠস্থান, অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা ঐতিহ্যবাহী যশোরের সামগ্রিক রাজনীতি এখন আর আগের মতো নেই। রাজনীতি হয়ে পড়েছে দৃশ্যত ক্ষমতাসীন দলকেন্দ্রিক। আওয়ামী লীগের রাজনীতিও চলছে গতানুগতিক। বলা যায় মাঠে ময়দানের রাজনীতি অনুপস্থিত। মূলত: জনকল্যাণে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনীতি নেই। বিএনপির রাজনীতি একরকম ঘরবন্দী অবস্থায়। জাতীয় পার্টি জেলায় মোটেও দৃশ্যমান নয়। একেবারেই কোন কর্মকান্ড নেই তাদের। ওয়ার্কার্স পার্টির বিভেদে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন, সভা সমাবেশ কিছুদিন চললেও বর্তমানে ঠান্ডাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেএসডি, জাসদ, ন্যাপ, সিপিবি ও ইসলামিক দলসহ প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড নেই বললেই চলে। সরব রাজনীতি বলতে যা বুঝায় তা জেলার কোথাও কার্যত: নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথা, বিএনপির সরব রাজনীতি করার বাস্তবতাও নেই। জাতীয় দিবসগুলোতে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ টুকিটাকি কর্মকান্ডে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি। মিটিং করলেও দলীয় কার্যালয়ে পুলিশবেষ্টিত এবং অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করতে হয়। মামলায় জেরবার নেতা কর্মীদের আদালতের বারান্দায় কাটাতে হয় দিন, সপ্তাহ, মাসের বেশীরভাগ সময়। বিএনপির বর্তমান সময়ে যারা রাজনীতি করছেন তাদের অনেকেরই বক্তব্য, কী করবো, সবখানেই একই অবস্থা। একজন নেতাতো খোলাসা করে বলেই ফেললেন, আরে ভাই দেখছেন না সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে, এর মধ্যে টিকে থাকাটাই কষ্টকর, আর রাজনীতি ?
নবগঠিত বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক যশোরের ভবদহ, কপোতাক্ষ, ভৈরব বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ইকবাল কবীর জাহিদ যশোরের রাজনীতি নিয়ে বললেন, গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ, ভোটের ওপর আস্থাহীনতা, দমন পীড়ন ও বাঁধাসহ নানা কারণে রাজনীতি ডিফিকাল্ট হচ্ছে। তারপরেও আমরা জনকল্যাণে নানামুখী বিষয় নিয়ে জনগণকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছি।
বিএনপির রাজনীতিতে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের পুত্র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বাঁধা বিপত্তি, মামলা, দমন পীড়নের মাঝেও দলীয় রাজনীতি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
সাম্প্রতিক আ.লীগের রাজনীতি বেশ চাঙ্গা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটি হয়েছে কেশবপুরের উপনির্বাচন এবং সদর উপজেলা নির্বাচন ঘিরে। কেশবপুরের উপনির্বাচনে জেলা আ.লীগের সধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কেশবপুরে মনোনয়ন পাওয়ায় প্রতিদিনই যশোর থেকে দলে দলে নেতা-কর্মীরা কেশবপুর যাওয়া, কেশবপুরের বড় অংশই ঝিমিয়ে থাকা সাধারণ নেতা-কর্মীরা গা ঝাড়া দিয়ে ওঠাসহ নানা বিষয় চাঙ্গার প্রমাণ। যশোরেও উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে বেশ ক’জন নেতার দৌড়ঝাঁপ চলছে। নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি সবখানে।
যশোরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শাহিন চাকলাদার পুষ্পমাল্য দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামার দিন জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীদের একরকম ঢল নামে। কেশবপুরে শাহীন চাকলাদার নৌকার মাঝি সেখানে ভিন্ন আমেজ তৈরি হয়েছে। তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কেশবপুরের ঝিমিয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের। প্রতিদিনই সেখানে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ হচ্ছে। অথচ এর বিপরীতে বিরোধী দলের চোখে পড়ার মতো কোন কর্মকান্ড নেই। জেলা-উপজেলার অন্য ছোটখাটো রাজনৈতিক দল প্রেসরিলিজ সর্বস্ব হয়ে পড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।