Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রিজম্যানের গোলে বার্সার রক্ষা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:০৫ এএম

প্রথমার্ধে ড্রাইস মার্টেন্সের গোলে এগিয়ে ছিল নাপোলি। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান ফরাসি ফরোয়ার্ড আতোয়ান গ্রিজম্যান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার রাতে নাপোলির ঘরের মাঠ সান পাওলোতে শেষ ষোলর প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়।

ম্যাচের শুরুতে স্যামুয়েল উমতিতি ও ডি জংকে রাখেন কোচ কিকে সেতিয়েন। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বসিয়ে রাখা হয় লেঙ্গলেট ও আর্থারকে। অন্যদিকে নাপোলির কোচ জেন্নারো গাততুসোও শুরুতে পোলিতানো ও ইলমাসকে মাঠে নামান। জাইলিনস্কি ও কালেজনকে রাখেন রিজার্ভ বেঞ্চে।

খেলা শুরুর তিন মিনিটের মাথায়ই আক্রমণে যায় কিকে সেতিয়েনের দল। পিকের পাসকে নিখুত হতে দেননি অসপিনা। এর ছয় মিনিট পর ডি জংয়েরে পাস পেয়ে ডি বক্সের ভেতর থেকে বা পায়ে লক্ষ্যে আঘাত করতে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তা চলে যায় বারপোস্টের উপর দিয়ে। তবে ম্যাচে প্রথম অন টার্গেটে শট করে স্বাগতিকরাই।

বার্সার খেলোয়াড়রা বল নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও নাপোলির রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় এগিয়ে যেতে পারেনি। ম্যাচের দৈর্ঘ্য যখন ৩০ মিনিট, বার্সার আক্রমণকে প্রতিহত করে প্রতিআক্রমণে যায় নাপেলি। কিছু বুঝে ওটার আগেই দ্রুত গতিতে জিলিনস্কির পাসে টের স্টেগেরকে পরাস্ত করেন ড্রাইস মার্টেন্স। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটা বেলজিয়াম ফরোয়ার্ডের ৬ষ্ঠ গোল। প্রথমার্ধের শেষদিকে আবারও জোড়ালো আক্রমণে যায় স্বাগতিক দল। তবে বার্সা গোলরক্ষক সজাগ থাকায় কোন বিপদ ঘটেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ট্যাকল করতে গিয়ে হুলদ কার্ড দেখেন সার্জিও বুসকেটস। ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে সেতিয়েন প্রথম পরিবর্তন আনেন। মিডফিল্ডার রাকিতিচকে উঠিয়ে নিয়ে মাঠে নামান আর্থারকে। এই ব্রাজিলিয়ান মাঠে নামতেই পাল্টে যায় খেলার ধরন। এর তিন মিনিট পর নাপোলির দুর্ভেদ্য রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে নেলসন সেমেদোর দারুণ থ্রুতে জালের দেখা পান আতোয়ান গ্রিজম্যান। ফরাসি ফরোয়ার্ডের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবারের মৌসুমের প্রথম গোলে ম্যাচে ফেরে সমতা।

গোলের পরপরই ম্যাচের মোমেন্টাম আবারও ঘুরে যায়। ভিদালকে পাশ কাটিয়ে অসপিনা এগিয়ে যাচ্ছিলেন গোলপোস্টের দিকে। ঠিক সেসময় টের স্টেগেন আবারও দুর্দান্ত এক সেভ করে বার্সাকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। ৬৬তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি। এর ছয় মিনিট পর ডি জং, ভিদাল দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, মেসি ডান দিকে ছিলেন ক্রসের অপেক্ষায়। কিন্তু অসনিপার দৃঢ়তায় হতাশ হতে হয় সফরকারিদের।

শেষদিকে দু’দলই বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে। তবে সাফল্যের দেখা পায়নি কেউই। তবে ৮৯ত মিনিটে মারিও রুইকে ফাউল করার পর ধাক্কাধাক্কির জেরে দুটি হলুদ কার্ড দেখিয়ে লাল কার্ড দেখান রেফারি। সফরকারিরা পরিণত হয় দশ জনের দলে। এরপর পাঁচমিনিট যোগ করা সময়েও কোন দল গোল করতে না পারায় ১--১ গোলে শেষ হয় ম্যাচটি।

বার্সেলোনার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে মার্চের ১৯ তারিখে শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০০৬ সালে সবশেষ কোন ইতালিয়ান ক্লাবকে তাদের মাঠে হারিয়েছিল বার্সা। সেবার এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারানোর ম্যাচে নাপোলির বর্তমান কোচ গাততুসোও ছিলেন হারের সাক্ষী। এছাড়া বাকি ৫টি ম্যাচের চারটিতে হেরেছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। বাকি একটি ম্যাচ ছিল ড্র।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ