পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির মহানগর কমিটির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও কেন্দ্রের আস্থা ক্রান্তিকালে হালধরা তরুণ এই নেতার উপর। দুঃসময়ের কান্ডারী হিসেবে পরিচিত ডা. শাহাদাতকে ধানের শীষের প্রার্থী করায় খুশি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
আগেই সরকারি দল আওয়ামী লীগ নগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। এরপর ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। মাঠের বিরোধী দল বিএনপিও ৫৫টি কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে নেমে পড়েছেন দুই দলের মেয়র, কাউন্সিলর, প্রার্থী ও তাদের সমর্থক নেতাকর্মীরা। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু না হলেও উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভাসহ নানান ব্যবস্তায় দিন পার করছেন প্রার্থীরা।
প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় ভোটের হাওয়ায় এসেছে নতুন গতি। দুই দলের প্রার্থী নিয়ে চলছে নানামুখী বিশ্লেষণ। নৌকার প্রার্থী বয়সে প্রবীণ হলেও মহানগর আওয়ামী লীগের মূল দাািয়ত্বে ছিলেন না কখনও। অন্যদিকে ডা. শাহাদাত হোসেন বয়সে অপেক্ষকৃত নবীন হলেও মহানগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বাড়ি নগরীর বহদ্দারহাটে। তার অনতিদূরে বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত নগরীর বাকলিয়ায় ডা. শাহাদাতের বাড়ি।
ফলে প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে ডা. শাহাদাতের মনোনয়ন লাভে নৌকার প্রার্থী কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়বেন বলে নাগরিক মহলের ধারণা। রেজাউল করিমের মতো ছাত্র রাজনীতি থেকেই উঠে আসেন ডা. শাহাদাত। একসময় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সরব ছিলেন তিনি। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী দুর্দিনে নগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা যখন দেশে-বিদেশে ‘পালিয়ে’ তখনই নগর বিএনপিতে সক্রিয় হন তিনি। ত্যাগী এবং পরীক্ষিত-পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে দলের তৃণমূলে। সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে অর্ধশত মামলার আসামি হয়েছেন তিনি। গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হন তিনি।
ওই নির্বাচনের তপশীল ঘোষণার আগ থেকেই কারাবন্দি ছিলেন তিনি। মুক্তি পান নির্বাচনের অনেক পরে। জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে না পারলেও কারাগার থেকে বের হয়ে সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগেই দলের হাইকমান্ড থেকে তাকে সবুজ সঙ্কেত দেয়া হয়। এ সঙ্কেত পেয়ে মাঠে সক্রিয় থাকেন তিনি।
তার মনোনয়ন পাবার খবরে নগরীর নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন শাহাদাত। মনোনয়ন চেয়ে আরও যারা দলের কাছে আবেদন করেছেন তারাও কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্তে অখুশি নন। ধানের শীষের পক্ষে একহয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। বিএনপি নেতারা বলছেন, চমকের নামে কোনো ব্যবসায়ী কিংবা নবাগতের বদলে দলের একজন সিনিয়র মূলধারার নেতা মনোনয়ন পাওয়ায় তারা খুশি। আজ বুধবার ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসবেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তাকে বরণ করে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে মহানগর বিএনপি। গতকাল বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা হয়। সেখানে সংবর্ধনা সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান মহানগরীর নেতারা।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চসিক নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না। ধানের শীষের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে বরণ করতে নিতে নেতাকর্মীরা উদগ্রীব জানিয়ে তিনি বলেন, পুরাতন স্টেশন চত্বরে সংবর্ধনার মাধ্যমে বিএনপি ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়বে। সেখানে থানা এবং ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা ছাড়াও ৪৫টি ওয়ার্ডের কউন্সিলর প্রার্থীরা মিছিল নিয়ে সমবেত হবেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।