গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ অর্জনে পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই উন্নয়ন করতে যে যার জায়গা থেকে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেছেন, পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ক তথ্য উপাত্তের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য থাকা, এ বিষয়ে মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন তথ্য সেল, বিভিন্ন এনজিও নেটওয়ার্কের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ পৃথক ওয়াশ বাজেট প্রনয়ন করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের ওয়াইডব্লিউসিএ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সিভিল সোসাইটি ও মাল্টি স্টেকহোল্ডার’ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে স্যানিটেশন এ্যান্ড ওয়াটার ফর অল (এসডব্লিউএ)। সভায় ‘সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন প্রস্তাবিত অঙ্গীকারসমূহ আলোচনা ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রনালয়ের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এই সেক্টরে জিও-এনজিওর কোঅর্ডিনেশন দরকার, যা আমাদের আছে। রিজিওনাল দিকেও আমাদের নজর আছে। সবচেয়ে বড় দিক যেটা তা হচ্ছে এই সেক্টরে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নিজের কমিটমেন্ট আছে। পৃথীবির অনেক দেশে ওয়াটার স্যানিটেশনের দিকে সরকার খুববেশি গুরুত্ব দেয় না। আমাদের অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় এটা খুব অর্গানাইড সেক্টর। আর্সেনিক নিয়ে, পাহাড় নিয়ে আলাদা প্রজেষ্ট আছে। তবে এটার টেকসই উন্নয়ন একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমাদের অনেক ওয়াটার সোর্স আছে যা টেকসই হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা ঢাকা শহরে ৫টা ওয়াটার টিটমেন্ট প্লান্ট করবো। এই ওয়াটার ও স্যানিটেশন সেক্টরে ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার ইনভেষ্টমেন্ট আছে। আরো গ্যাপ আছে, তার জন্যও আমাদের একাউন্ট দরকার। দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্যানিটেশনের দায়িত্ব সরকার নিতে পারবে না। সরকার যে দায়িত্ব নিবে, সেটা হচ্ছে ১১ শতাংশ যে অতি দরিদ্র জনগোষ্টি আছে তাদের দায়িত্ব সরকার নিবে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, প্রতি বাড়ির আঙ্গীনায় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ৬ লাখ ওয়াটার সোর্স আছে। ২০১৯ সালে ৫৪ টা ওয়াটার ল্যাবরেটরি করে দিয়েছে। পূর্বের ছিল আরো ১২ টি। ৩ পাবর্ত্য অঞ্চলের জন্যে আলাদা প্রজেক্ট আছে। সরকার ছোট প্রজেক্টগুলো পাশ করে দিচ্ছে। বস্তির জন্যে শেয়ার ল্যাট্রির কিভাবে নিরাপদ করা যায় তা ভাবতে হবে। স্কুল গুলোতে প্রতিবন্ধীদের জন্যে টয়লেট ও র্যাম্প নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, এসডব্লিউএ’এর এশিয়া আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সিদ্ধার্থ দাস।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, এসডব্লিউএ দক্ষিণ এশিয়া সিএসও প্রতিনিধি ও র্ডপ’র গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান, ওয়াশ এ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি কো-অডিনেটর অলক কুমার মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন এসডব্লিউএ’র বাংলাদেশের কান্ট্রি ফোকাল মো. ইয়াকুব হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।