Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সত্য কোনোদিন মিথ্যা হয় না: ডন

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৪২ পিএম

তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের মতে দেশের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি। বরং পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন। সোমবার দুপুরে পিবিআইয়ের এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর সালমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি অভিনেতা আশরাফুল হক ডন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অবশেষে কলিজার বন্ধুকে হত্যার মিথ্যে অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম।

তিনি বলেন, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। ২৪ বছর বুকের ভেতর বন্ধু হত্যার মিথ্যা অপবাদ আমাকে নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার পূরণ কিছুতেই হবে না। আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম। সত্য কোনোদিন মিথ্যা হয় না। আর মিথ্যাকেও কোনোদিন জোর করে সত্যি বানানো যায় না।

প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তুলে ধরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, পিবিআই কর্তৃক তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনাসংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়। এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। ফলে সালমান খুনে অভিযুক্তরা সব দায় থেকে মুক্ত হলেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, সালমান শাহের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ হলো- চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে সালমানের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা; স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ; মাত্রাধিক আবেগপ্রবণতার কারণে একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার বা আত্মহত্যার চেষ্টা; মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেয়া এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।

পিবিআইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ডন বলেন, ‘আইন যা বলে তার ওপর কারও কিছু করার নেই। সালমান হত্যার তদন্তের জন্য অনেক তদন্ত হয়েছে। সর্বশেষ পিবিআই তদন্ত করলো। তারা অনেক সময় কাজটি করেছে। আমাকেও ডেকেছিলেন দুই মাস আগে। গিয়েছি। জবানবন্দি দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকেই তারা তলব করা হয়েছে বলে শুনেছি। তার ভিত্তিতে এ আত্মহত্যার প্রতিবেদন এলো। আমি দেশের আইন ব্যবস্থা এবং পিবিআইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে দুই যুগ ধরে চলে আসা একটি রহস্যের মীমাংসা তারা করেছেন।’

সালমান শাহকে কলিজার বন্ধু উল্লেখ করে এই খল অভিনেতা বলেন, এটি এই ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে। তার মৃত্যুতে কিন্তু আমারই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো। নায়ক-ভিলেন হিসেবে আমাদের যে জুটি ছিল সেটি তরুণদের কাছে অনেক অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সালমান চলে যাওয়ার পর আমিও আর সিনেমায় তেমনভাবে নিয়মিত হতে পারিনি। তবু আমার ওপর বন্ধু খুনের মিথ্যে দায় চাপানো হলো। কত কষ্ট, জ্বালা-যন্ত্রণা আমি সয়েছি দীর্ঘ এই ২৪ বছর সেটি আমিই কেবল জানি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ