পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। ঢাকা মহানগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, উত্তরের ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের নজরুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, কেন্দ্রীয় নেতা আনু মোঃ শামীম আজাদ, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, শাহাবুদ্দিন ফারুক, মোস্তাফিজুর রহমান মনির, আবুল কালাম আজাদ, সাইদুল ইসলাম সাঈদ, আজিজুর রহমান মোসাব্বির, ফরহাদ উদ্দিন, অমিত হাসান হাফিজ, এ বি এম মুকুল, ডাঃ জাহিদুল কবির জাহিদ, আমিনুল ইসলাম তালুকদার মহসিন, মোঃ জসিম উদ্দিন, এস এম সায়েম, সালেহ আহমেদ কাঞ্চন, সুলতান মোঃ নাসির, মোঃ আরিফুর রহমান, সরদার নুরুজ্জামান, ড. মফিদুল ইসলাম, ইউসুফ হারুন পাটোয়ারী, হাজী নুরুল আলম মোল্লা, সাইদুর রহমান মামুন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোর্শেদ আলম, এ্যাড. নুরুল হক, মোঃ আবু সাঈদ, ফয়জুল্লাহ মহাজন, আলমগীর হোসেন শাহীনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শফিউল বারী বাবু বলেন, দেশে এখন মানুষের ন্যূনতম কোন নিরাপত্তা নেই। বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ময়দানে পরাস্ত করতে সক্ষম না হয়ে ক্ষমতাসীন অগণতান্ত্রিক অপশক্তি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে, আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে যেকোন সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে যেতে পারে, আর সেজন্য বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকেই দায়ী হতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলকালে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, তারা সরকারি দলের দলীয় কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। মূলত: আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যই হলো-নেতাকর্মীরা যাতে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে ভয় পায় এবং বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি নিয়ে মাথা সোজা করে দাঁড়াতে না পারে। কিন্তু সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-জনগণ তথা বিএনপি’র ওপর নিপিড়ণ চালিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার এবং দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমাদের শরীকে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বলেন, এই সরকার মনে করে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের মাঝে সক্রিয় থাকলে অপকর্ম করা যাবে না। লুটপাট করা যাবেনা। দেশকে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করা যাবে না। ভোট ডাকাতি করা যাবে না। একারণে দুটি মিথ্যা মামলার রায়ে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী রেখে হত্যা চেষ্টা চলছে। যে নেত্রী একটি টাকাও তসরুপ করেননি, তাঁকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার শিকার বানিয়ে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে হত্যার জন্য জেলে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।