Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর সড়কে নিথর তিন প্রাণ প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আহত ১৩

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় যাত্রীবাহি বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ও গুলিস্তানে বাসের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে দিকে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ও গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুর্মিটোলা জেনালের হাসপাতালের সামনে বেপরোয়া গতির একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতের ওপর উঠে যায়। এ সময় ১৩ জন পথচারী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহতদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় নিহতরা হলেন- রাসেল (২৪) ও ফায়সাল (২৫)। তারা দুইজন উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় টাঙ্গাইলগামী একটি বাসের চাপায় পিষ্ট হন তারা।

উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই জিন্নাত খান জানান, তাদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর অপরজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা জানান, হাই চয়েস পরিবহনের একটি বাস (নম্বর কুষ্টিয়া ব-১১-০০৪১) মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। পরে বাসের চালক রবিউল (৪০) এবং চালকের সহকারী আব্দুস সালামকে (৪৫) আটক করা হয়। এছাড়া বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানী গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের সামনে বাসের ধাক্কায় মাহবুবুর রহমান (৫৬) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি পেশায় ঠিকাদার ছিলেন। রাজধানীর মগবাজার মীরবাগে স্ব-পরিবারে বসবাস করতেন তিনি।

নিহতের ছেলে মাইসুম অর্প বলেন, আমার বাবা সাবেক ঠিকাদার ছিলেন, আমাদের এক আত্মীয়ের কাজের জন্য মতিঝিলে যান। সেখানে কাজ শেষ করে গুলিস্তান থেকে ওই আত্মীয়কে বাসে তুলে দেন। সেখানে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বিকেল চারটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহবাগ থানার এসআই মো. খাইরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বাসচালককে আটক করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিও জব্দ করা হয়।
এর আগে গতকাল সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের একটি প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ১৩ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে একই পরিবারের দুই শিশুসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন- শিশু সুমাইয়া (৭) তার মা তামান্না (৩০) ও জাহিদা (৪৫)।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, কুর্মিটোলায় আহত তিনজনকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আহত শিশু সুমাইয়া পায়ে আঘাত পেয়েছে। এছাড়া তার মা তামান্না মাথায় আঘাত পেয়েছেন। আর জাহিদ শারীরিক অবস্থা গুরুত্বর। আহত তামান্না জানান, তার শাশুড়ি তুলা বেগমকে চিকিৎসা করার জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতালে আসেন তিনি ও তার স্বামী শেখ ফরিদ। এ সময় তাদের সাথে দুই সন্তান সুমাইয়া ও আব্দুল্লাহ ছিলেন। পরে ওই হাসপাতালে শাশুড়িকে হাসপাতালে ভর্তি করে কুর্মিটোলা হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। এ সময় একটি প্রাইভেটকার তাদের চাপা দেয়। এতে দু’সন্তানসহ তারা আহত হন।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি কাজী শাহান হক জানান, কুর্মিটোলা এলাকায় দুর্ঘটনায় আহত শিশু আব্দুল্লাহসহ চারজনকে নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালে ৩ জন ভর্তি ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে ছয়জন ভর্তি রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ