নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সদ্যই অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শিরোপা জয় করেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সেটি নারী ক্রিকেট দল। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নারীদের টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। পার্থে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
চলতি মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছিলো বাংলাদেশ। যুবাদের এমন সাফল্যে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন বাংলাদেশ নারী দল। এমনটাই বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন, ‘যখন দলগত সংকল্প, মেধা ও এবং কঠোর পরিশ্রমে কি করা যায় আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল সেটা করে দেখিয়েছে এবং বিশ্বকাপের আগে আমাদের জন্য এটি বড় অনুপ্রেরনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা যা করতে সক্ষম হয়েছে তাতে আমরা তাদের জন্য গর্বিত। কিন্তু এখন আমরা তাকিয়ে আছি অস্ট্রেলিয়ায় আমরা কি করতে পারি।’
আগের দুই আসরে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ তথাপি প্রথমবারের মত সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্যের কথা জানান সালমা।
এবারের আসরে কঠিন গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে তাদের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ কখনো অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়নি।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুন পারফরমেন্স করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ রানে হারিয়েছে তারা। বৃষ্টির কারনে প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।
এই আসরে জয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে কন্ডিশনিং ক্যাম্পও করেছে তারা।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি গোল্ড কোস্টে পৌছায় বাংলাদেশ। স্থানীয় দলের বিপক্ষে দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচও খেলে তারা। এরমধ্যে একটি ম্যাচে জয় ও একটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
সালমা বলেন, ‘আমরা খুবই উচ্ছসিত। বড় মঞ্চে খেলতে দল মুখিয়ে আছে এবং আমরা যে মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলতে পারি তা প্রমানের ভালো সুযোগ আমাদের সামনে। গত বিশ্বকাপের পর থেকে আমাদের দলে বিশ্বাস বেড়েছে। আমরা কিছু বড় দলকে হারিয়েছি এবং গেল দু’বছর ঐ দলগুলো আমাদের উপরেই ছিলো। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রমে আমাদের দলটি। আমাদের মূল দলটি একত্রে রয়েছে এবং তাদের অভিজ্ঞতা প্রমানই গুরুত্বপূর্ণ।’
বড় দলগুলোর বিপক্ষে সঠিক পরিকল্পনা ও আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলার প্রতি জোড় দিয়েছেন সালমা। তাদের সাথে সমানতালে লড়াই করার ইঙ্গিত দেন সালমা, ‘যদি আমরা প্রতিন্দ্বন্দিতাপূর্ণ, আক্রমনাত্মক এবং বাধা ছাড়াই খেলতে পারি তবে আমরা ভালো অবস্থায় যেতে পারবো। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে সাফল্য আমাদের দিকেই আসবে। কঠিন লড়াই ও প্রতিন্দ্বন্দিতা শেষ বল পর্যন্ত থাকবে। আমার দলের কাছে আমি এটিই জিজ্ঞাসা করি।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়া ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন সালমা। টুর্নামেন্টে গ্রুপ ও ফাইনালে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। সালমা বলেন, ‘আমরা এই গ্রুপে বিশ্বের বড় বড় দল পেয়েছি। কিন্তু যখন এ ধরনের টুর্নামেন্ট খেলতে হয়, তখন চিন্তা করার উপায় নেই কারা ভালো এবং দুর্বল দল। আমরা অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও নিজেদের উপর আস্থা রেখে এশিয়া কাপ জিতেছি। আমরা বিশ্বকাপেও একই মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে আমরা আগেভাগে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি। অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের কিছু খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গোল্ড কোস্টে আমাদের ক্যাম্প ছিলো। তবে এখন টুর্নামেন্টে যাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দায়ক বিষয়। সকলেই উৎসাহী ও আত্মবিশ্বাসী।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।