নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ৭১ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলেছে মুমিনুল হকের দল। যেখানে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক। মুমিনুল দিনশেষে অপরাজিত আছেন ৭১ রানে। তাঁর সঙ্গী মুশফিকুর রহিম ব্যাট করছেন ৩২ রান। বাংলাদেশ এখনো জিম্বাবুয়ের থেকে ২৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে। তৃতীয় দিনে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ কত রানের লিড পায় সেটাই দেখার।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাইফের বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে স্বাগতিকরা। চা বিরতির আগে শান্ত ফিফটি তুলে নিলেও বিদায় নেন তামিম। ফিফটিটাকে ৭১ রান অবধি নিয়ে যেতে পেরেছেন শান্ত। নিজের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৩৯ বলে সাতটি চারের সাহায্যে। এরপর বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সঙ্গী হিসেবে পান অভিজ্ঞ মুশফিকুরকে। ১৭২ রানে ৩ উইকেট চলে যাওয়ার পর এই জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে দ্বিতীয় দিন পার করেছে। যেখানে মুমিনুল ৭১ করে অপরাজিত আছেন। তিনি এই রান করেছেন ১৩৯ বলে সাতটি চারের সৌজন্যে। মুশফিকের ৩২ রান এসেছে ৬৮ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে।
ঘরের মাঠে জ্বলে উঠলেন মুমিনুল
মিরপুরে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। শান্তর পর ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনিও। চতুর্থ উইকেটে মুশফিককে নিয়ে এখন পর্যন্ত গড়ে তুলেছেন ৩৭ রানের জুটি। এ জুটিতে ২০০ পেরিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস।
অধিনায়ক হিসেবে এটি মুমিনুলের প্রথম ফিফটি। এ ইনিংসের আগে সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন আফগানিস্তানে বিপক্ষে চট্টগ্রামে। এরপর ভারত ও পাকিস্তানে গিয়ে এ দুই দলের বিপক্ষে ৩টি টেস্ট খেললেও রানের দেখা পাননি তিনি। দেশের বাইরে বারবার ব্যর্থ হওয়া মুমিনুল দেশের মাটিতে সবসময়ই জ্বলে উঠেন।
দেশের মাটিতে এখন পর্যন্ত ২৩ টেস্ট খেলে ৫৬.৮২ গড়ে ২০৪৭ রান করেছেন মুমিনুল। দেশের মাটিতে তিনি সমান ৮টি সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। বিপরীতে বিদেশের মাটিতে ১৭ টেস্ট খেললেও পাননি সেঞ্চুরির দেখা। দেশের বাইরে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৭৭ রানের। এ সময় ২২.৩০ গড়ে করেছেন মাত্র ৭৩৬ রান। হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ৬টি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬৪ ওভার শেষে স্বাগতিক বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৯ রান। মুমিনুল হক (৬০) ও মুশফিক (২১) ক্রিজে আছেন।
ফিরে গেলেন শান্ত
প্রথম স্পেলে খরুচে বোলিং করা চার্ল্টন টিশুমা দ্বিতীয় স্পেলে পেলেন নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। একটু বাড়তি বাউন্স কাল হলো বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের জন্য। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে রেজিস চাকাভার গ্লাভসে। টিশুমা পেলেন প্রথম টেস্ট উইকেট। ১৩৯ বলে সাত চারে ৭১ রান করেন শান্ত। ভাঙে ৭৬ রানের জুটি।
৫০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৭২/৩। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
তামিমের বিদায়ে ভাঙল জুটি
শুরুতে সাইফ হাসানকে হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জনেই পাচ্ছিলেন ফিফটির সুবাস। তবে তামিমের বিদায়ে ফের বিপদে বাংলাদেশ।
এই ওপেনারও ফিরেছেন উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে। ৭৮ রানের জুটি ভাঙা এবার শিকারি তিরিপানো। ৪১ রানে ফেরা তামিমের ইনিংসটি ৭টি চারে সাজানো।
৩৭ ওভার শেষে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১২। ফিফটি তুলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন শান্ত (৫০)। তাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক (১১)।
শুরুতেই সাইফের বিদায়
জিম্বাবুয়েকে অল্পে আটকে দেওয়ার স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না বাংলাদেশ দলের। শুরুতেই স্বাগতিকরা হারাল ওপেনার সাইফ হাসানকে।
ভিক্টর নিয়াউচির আগের ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খুলেছিলেন রানের খাতা। পরে দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে আসে আরেকটি বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত এই আগাসী মনোভাবই কাল হয়, নিয়াউচির বলেই ফিরলেন কিপারকে ক্যাচ দিয়ে।
চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সাইফের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে রেজিস চাকাভার গ্লাভসে। ১২ বলে দুই চারে সাইফ করেন ৮ রান।
মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৮ ওভারে ঐ এক উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫। ১০ রানে ব্যাট করছেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। তাকে সঙ্গ দিতে ৫ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
২৬৫ রানে শেষ জিম্বাবুয়ে
পাঁচ উইকেট হলো না আবু জায়েদ চৌধুরী কিংবা নাঈম হাসানের। আক্রমণে ফিরে রেজিস চাকাভাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দিলেন তাইজুল ইসলাম।
বাঁহাতি স্পিনারকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন চাকাভা। টাইমিং করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের কিপার-ব্যাটসম্যান। অনেক ওপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান নাঈম। ইনিংসে এটি তার তৃতীয় ক্যাচ। তিন চারে ৭৪ বলে ৩০ রান করেন চাকাভা।
দ্বিতীয় দিন সকালে এক ঘন্টা ২০ মিনিট স্থায়ী হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। দলটি যোগ করে ৩৭ রান।
আট ওভারের স্পেলে ২ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ। ইনিংসে ৭১ রানে চারটি। টেস্টে এটিই তার ইনিংসে সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ৪/১০৮। এদিন দুটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। অফ স্পিনার নাঈম ৭০ রানে নিয়েছেন চারটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : (আগের দিন ২২৮/৬) ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫ (চাকাভা ৩০, টিরিপানো ৮, এনডিলোভু ০, টিশুমা ০, নিয়াউচি ৬*; ইবাদত ১৭-৮-২৬-০, আবু জায়েদ ২৪-৬-৭১-৪, নাঈম ৩৮-৮-৭০-৪, তাইজুল ২৭.৩-১-৯০-২)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।