Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে টাকা চুরি!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

চুরির মামলার আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে মো. তানভীর মাহাতাব সাকিল (২৩) নামের এক যুবকের শ্বশুর বাড়ি থেকে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার দোখানো হয়। শুধু তাই নয়, ওই মামলায় আসামি হিসেবে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে ওই আবেদনে মাত্র ২২ হাজার ৫০০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি টাকা অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন অভিযোগ উঠেছে ডিএমপির হাতিরঝিল থানার এসআই পিযুষ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সাকিলের এক শ্যালিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে একই থানার এএসআই তরিকুলের বিরুদ্ধে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হাতিঝিল থানাধীন নিরিবিলি হাউজিং ৩৫/৩/সি নম্বর বাসায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। পরে বাসার বাসিন্দা দেবেশ চৌধুরী হাতিঝিল থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাড়ে সাত ভরি ওজনের দুই সেট স্বর্ণের নেকলেস, আড়াই ভরি ওজনের দুইটা স্বর্ণের হার, সাত ভরি ওজনের দুই জোড়া চুড়ি বালা, ৬ ভরি ওজনের তিনটি ব্রেসলেট, ৫ ভরি ওজনের ৮ জোড়া কানের দুল, আড়াই ভরি ওজনের ৫টি আংটি, সনাতনী সোনা ১০ ভরি, মেয়ের বিয়ের গহনা ২৫ ভরি, একটি ডেল ল্যাপটপ, সাতটি ঘড়ি, একটি শাওমী মোবাইল ও নগদ নয় লাখ ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৫০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরে ওই টাকা ও মামলার আসামি গ্রেফতারে অভিযান চালায় হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তানভীর মাহাতাব সাকিল নামের ওই যুবককে আটক করা হয়।
এ সময় তার শ্বশুরের বাসা থেকে একটি স্বর্ণের চুড়ি, একটি আংটি, একটি কানের দুল, একটি গলার হার, একটি ব্রেসলেট, তিনটি গোল্ড প্লেটের চুড়ি, একটি পোল্ড প্লেটের ঝুমকা, একটি কালো কালারের ডেল ল্যাপটপ, একটি গোল্ড রংয়ের হাত ঘড়ি ও নগদ দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে রিমান্ড আবেদনের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ সময় রিমান্ড আবেদনে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকার পরিবর্তে মাত্র ২২ হাজার ৫০০ টাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
সাকিলের স্বজনদের অভিযোগ, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সাকিলের শ্বশুর বাড়িতে অভিযানে যান হাতিরঝিল থানার এসআই পিযুষ কুমার সরকার ও এএসআই তরিকুল। এ সময় তাদের বাড়ি থেকে নগদ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন এবং ঘর থেকে স্বর্ণসহ দামি মালামাল নিয়ে আসেন। এ সময় বাড়ির অন্য বাসিন্দাদের মোবাইলও নিয়ে আসেন। সেই মোবাইল থেকে সাকিলের শ্যালিকার ফোন নম্বর ছিল। পরবর্তীতে ওই নম্বরে অভিযানে যাওয়া এএসআই তরিকুল ফোন দেন এবং তাকে স্বামীকে তালাক দিয়ে তার সাথে চলে যেতে বলেন।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই পিযুষ কুমার সরকার ও এএসআই তরিকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পরে হাতিরঝিল থানার ওসি মো. আবদুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। এ ব্যাপারে আপনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।’



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৪১ এএম says : 0
    Jongon aj kisu kukhato lovi polisher hate jimmi kintu aj porjonto eai shob polishder bepare kono shomalochona othoba ayn prostab korar kono otjog porjonto neowa hoynai,ar hobei ba kivabe ? Eai shongshoder shangshodrato jonogoner vote pash kore nai...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চুরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ