প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : আপনার পাওয়া টাকা নিজে খরচ করা ঠিক হয়নি। যখন সুযোগ হবে টাকাটি যার তার নামে উপযুক্ত স্থানে দান করে দিবেন। আর আপনি নিজেই যদি দানগ্রহণের মত ব্যক্তি হয়ে থাকেন, তাহলে আবার দান করতে হবে না। ওই ব্যক্তির জন্য সওয়াবের দোয়া করতে থাকুন। ব্যক্তিটি অমুসলিম হলে তার জন্য হেদায়াত এবং পার্থিব কল্যানের দোয়া করবেন। এখন আসুন, টাকা পাওয়ার মাসআলা জেনে নেওয়া যাক। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা বা বস্তু নিজে না উঠানোই ভালো। কেননা, এতে দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে এসে যায়। অন্য কেউ এ দায়িত্বভার নিজের কাঁধে নিক। পারত পক্ষে আপনি নিবেন না। যদি টাকা বা বস্তু নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে, আর আপনি নিজেকে দায়িত্বশীল ও বিশ্বস্ত মনে করেন, তাহলে মালিক তালাশ করে তার হাতে পৌঁছে দেওয়ার নিয়তে তুলতে পারেন। এরপর ক্ষেত্রবিশেষে কমপক্ষে দুই বছর অথবা বেশি এ টাকা নিজের কাছে হেফাজত করে রাখতে হবে এবং যথাসাধ্য ঘোষণা চালিয়ে যেতে হবে, যেন মালিকের কাছে এ খবর পৌঁছার সুযোগ হয়। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর টাকা বা বস্তুটি মালিকের আমলনামায় সওয়াব পৌঁছানোর নিয়তে দান করে দিতে হবে। এরপর যদি মালিক পাওয়া যায়, তাহলে তাকে টাকা দিতে আপনি বাধ্য নন। তবে, অভাবী লোক হলে আর আপনার সংগতি থাকলে টাকাগুলো দিলে অফুরন্ত সওয়াব হবে। যাকে শরীয়তে ইহসান বলা হয়। অবশ্য এটা নিতান্তই ঐচ্ছিক ও মানবিক ব্যাপার। আইনগতভাবে এ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো তাগিদ নেই।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।