মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা আর আতঙ্ক বাড়ছেই। শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৮ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দায়েগু ও চেংদো নামের দুটি শহরকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামরিক সদস্যদের ঘাঁটি থেকে অন্যত্র চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এদিকে শুক্রবার নতুন করে আরও ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চীনের বাইরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সবচেয়ে বড় ছোবল মেরেছে দেশটিতে। দেশটিতে নতুন করে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দায়েগুর শিনচেওনজি চার্চ অব জেসাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কোরিয়ান রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এক বিবৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে। ওই চার্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ৮০ জন এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। যার শুরু হয়েছিল ৬১ বছরের এক নারীর মাধ্যমে। দক্ষিণ কোরিয়ার দেয়া সরকারি হিসাব অনুযায়ী, স্পেশাল কেয়ার জোন ঘোষণা করা দায়েগু শহর ও এর আশেপাশের অন্তত ১১০ জন বাসিন্দা এখন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত। দায়েগু শহরে ২৫ লাখ মানুষের বাস। শহরটির মেয়র অনাকাক্সিক্ষত সংকট ঘোষণা করার পর শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং একাধিক সড়ক এখন বন্ধ। এছাড়া উল্লিখিত চার্চটির চার শতাধিক সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেছে। যদিও তাদের পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে। দায়েগু শহরের মেয়র কুন ইয়ং এক প্রেসি ব্রিফিংয়ে শুক্রবার এই তথা জানান। অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার ৫৩ জন নতুন আক্রান্তকে শনাক্তের পর শুক্রবার আরও ৫২ জনকে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৬ জনে। সাম্প্রতিক এই বাস্তবতাকে ‘জরুরি পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সাই-কিয়ুন। কভিড-১৯ মোকাবিলায় জোরদার করা হয়েছে পদক্ষেপ চীনের বাইরে এর হংকং, ফিলিপিন্স, ফ্রান্স এবং জাপানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পর দেশটির দুই দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দায়েগু ও চেয়ংদোকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীন ও জাপানে আটকা থাকা প্রমোদতরীর পর সবচেয়ে বেশি কভিড-১৯ আক্রান্তের দেশে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। শুক্রবার নতুন ধরা পড়া ৫২ জন আক্রান্তের মধ্যে ৪১ জনই দায়েগুর বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৩৯ জনই একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্য। বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।