নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাবর আজমের দুর্দান্ত ৭৮ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০১ রান তোলে করাচি কিংস। জবাবে ব্যাটহাতে লিয়াম লিভিংস্টোনের অপরাজিত ফিফটি ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির ঝড়ো ব্যাটিং ও বাঁচাতে পারেনি পেশোয়ার জালমিকে। ১০ রান দূরে থাকতেই ১৯১ রানে আটকে যায় পেশোয়ারের ইনিংস।
এর আগে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আজ প্রথমে টস জিতে করাচিতে ব্যাটিংয়ে পাঠান ড্যারেন সামি। ম্যাচের প্রথম তিন ওভারেই শারজিল খানকে (১৯) ক্যাচ আউটে পরিণত করেন হাসান আলি। এরপর দলীয় ৭৩ রানে ১৬ বলে ২০ রান করে ফিরে যান ক্যামেরন ডেলপোর্ট।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান বাবর আজম ও ইমাদ ওয়াসিম। এ দুইজন স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৯৭ রান। দলীয় ১৭০ রানে বাবর রান আউটের ফাঁদে পড়লে ভাঙে এ জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫৬ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বাবর। ৭ চার ও ২ ছয়ে এ ইনিংস সাজান পাকিস্তানের এ টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক। ১০ রান পর ফিরে যান ইমাদ ওয়াসিমও। ৩০ বলে সমান ৩ চার ও ছয়ে ৫০ রান করেন ইমাদ। শেষ দিকে ইফতিখার আহমেদ মাত্র ৩ বলে ১৬ রান করলে ২০০ পেরোয় করাচির ইনিংস। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২০১ রান। হাসান আলি সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মোহাম্মদ মহসিন পেয়েছেন একটি উইকেট।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় ভালোই জবাব দিচ্ছিল পেশোয়ার। টম ব্যান্টন ও কামরান আকমল উড়ন্ত সূচনা করেন। কিন্তু দলীয় ২৯ রানে ব্যান্টনকে লেগ বিফোরের শিকার করেন ক্রিস জর্ডান। এরপরই হায়দার আলিকেও (৪) ফেরান তিনি। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক চেষ্টা চালিয়েছিলেন দলকে উদ্ধারের। তবে ১৬ রানে রানআউটে কাটা পরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। কামরান আকমলের প্রতিরোধও (৪৩) ভেঙে যায় ডেলপোর্তের বলে বোল্ড হয়ে।
এরপর লিয়াম লিভিংস্টোন ও লিয়াম ডাউসনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। কিন্তু মোহাম্মদ আমিরের বলে কাটা পরেন ২২ রান করা ডাউসন। ভেঙে যায় ৪৭ রানের জুটি। ক্রিজে আসেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। সেখান থেকে জয়ের দিকে ছুটছিলও স্যামি-লিভিংস্টোন জুটি। কিন্তু করাচির বোলারদের দাপটে ১০ রান দূরে থেকেই শেষ হয় তাদের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
করাচি কিংস : ২০ ওভারে ২০১/৪ (বাবর ৭৮, শারজিল ১৯, ডেলপোর্ত ২০, ইমাদ ৫০, ওয়ালটন ৯*, ইফতেখার ১৬*; হাসান ২/৫২, রাহাত ০/৩৩, মালিক ০/২২, ওয়াহাব ০/৩৫, মহসিন ১/৩৫, ডাউসন ০/২২)।
পেশোয়ার জালমি : ২০ ওভারে ১৯১/৭ (ব্যান্টন ১৩, আকমল ৪৩, হায়দার ৪, মালিক ১৬, লিভিংস্টোন ৫৪*, ডাউসন ২২, স্যামি ৩০, ওয়াহাব ০; আমির ১/৩৪, আশরাফ ০/৫১, জর্ডান ২/৩৯, উমাইদ ২/২৩, ডেলপোর্ত ১/২৩, ইমাদ ০/২০)।
ফল : করাচি ১০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : বাবর আজম (করাচি কিংস)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।