পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সব ধরণের বাধা উপেক্ষা করে নদী উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও নদী উদ্ধারে কাউকে ছাড়া না দেয়ার কথা বলেছেন। অথচ বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারছে না অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ)। গতকাল বৃহস্পতিবার টঙ্গীতে তুরাগ নদ দখলমুক্ত করার সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে চলমান অভিযান বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডবিøউটিএ। বেলা সোয়া ১টায় তুরাগের আশুলিয়া পাড়ের ধৌড় এলাকা থেকে অভিযান বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার বিরুলিয়া এলাকায় তুরাগ নদের পাড়ের জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডবিøউটিএ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। আশুলিয়ার ধৌড় এলাকায় নিশাত জুট মিলস ও হোসেন ডাইং ফ্যাক্টরীর দখলে থাকা নদীর জায়গা উদ্ধার করতে গেলে দখলকারীদের পক্ষে বাধা দেয়া হয়। এরপর তুরাগের প্রায় আড়াই একর জমি দখল করে থাকা শারমিন গ্রæপের বালুর স্তুপ অপসারণ করতে গেলে ফের বাধার মুখে পড়ে উচ্ছেদকারীরা। এক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইলে একটা ফোন আসে। ওই ফোনে কথা বলার পর ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দিয়ে ফিরে যান।
উচ্ছেদকারী কর্মকর্তারা জানান, আপিল বিভাগের নির্দেশনা থাকার পর গত ১৮ দিন পার হয়ে গেলেও অজানা কারণে তুরাগের টঙ্গি পারের নিশাত জুট মিল ও হোসেন ডাইং উচ্ছেদ করতে দেয়া হয়নি তাদের। একজন কর্মকর্তা বলেন, বার বার উচ্ছেদে বাধা আসায় আমরা অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। উচ্ছেদকারী দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, একই দাগের অন্য দখল করা স্থাপনা উচ্ছেদ করা গেলেও প্রভাবশালীদের দখলকৃত জায়গা উচ্ছেদ করতে গেলে নানাভাবে বাধা আসছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের শেষ দিনের মতো গতকাল তুরাগ নদের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা বিরূলিয়া অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডবিøউটিএ। সকাল দশটায় অভিযান শুরু হওয়ার পর শারমিন গ্রæপের বালুমহাল উচ্ছেদ করতে গিয়ে অভিযান ১১টার দিকে বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা একটার দিকে ১০ মিনিট অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় বিআইডবিøউটিএ। এর আগে আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে বিরূলিয়া পর্যন্ত দুটি বালুর গদিসহ প্রায় ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ঢাকা নদী বন্দরের আওতাভুক্ত তিনটি নদীর আশপাশের বিপুল সংখ্যক অবৈধ স্থাপনা অবমুক্ত করেছে বিআইডবিøউটিএ। এখন সীমানা পিলারের ভেতরে যে সকল বালি ও মাটি রয়েছে সেগুলো সরিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে অবমুক্ত করা হচ্ছে। এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত চলবে বলে জানায় বিআইডবিøউটিএ। কিন্তু প্রভাবশালীদের চাপে উচ্ছেদ অভিযান বার বার থেমে যাওয়ায় বিআইডবিøউটিএ-এর অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উচ্ছেদের শিকার দখলদাররা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, প্রভাবশালীদের ছাড় দেয়া হলে আমাদেরকে কেন দেয়া হলো না। এজন্য অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।