পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার অভিজাত ১৩টি ক্লাবসহ সারাদেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশ সম্বলিত হাইকোর্ট বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের স্বাক্ষরে এ রায় প্রকাশ পায়। রায়ে জুয়া খেলা নিয়ে মুসলমানদের মহাপবিত্র ধর্মগ্রন্থ আর-কুরআনে যে বিধি-নিষেধ রয়েছে সে বিষয়ে বিস্তর আলোচনা রয়েছে।
সুরা আল মায়েদার ৯০ ও ৯১ নম্বর আয়াত তুলে ধরা হয়। তবে টাকা ছাড়া শুধু বিনোদনের উদ্দেশ্যে খেলা যাবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। ২৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায়ে বলা হয়েছে, আইনের চোখে সবাই সমান। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সদস্যরা নিছক চিত্ত-বিনোদনের উদ্দেশ্যেই এই খেলা খেলেন। তাদের সদস্যদের পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সচ্ছ¡লতা থাকলেও তারা সমাজের দরিদ্র শ্রেণী থেকে ভিন্ন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে না বলে রায়ে বলা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অভিজাত ১৩টি ক্লাবসহ সারা দেশে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৩টি ক্লাব হচ্ছে, ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব,অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব। এর আগে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার সামিউল হক ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মো. ফারুক জনস্বার্থে এ রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত জুয়া খেলা বন্ধে রায় ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।