পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নিরীক্ষা দাবির এক হাজার কোটি টাকা সোমবারের মধ্যে পরিশোধ করতে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। কোর্টের আদেশের পরও অপারেটরটি কোন টাকা না দিলে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক। গ্রামীণফোনের আর যাওয়ার জায়গা নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে সোমবারের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনে যা যা ক্লজ আছে তা করা হবে। ওরা যদি টাকা না দেয় আমরা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করব। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সবচেয়ে যোগ্য, অভিজ্ঞ ও সৎ মানুষকে আমরা এডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করব। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশনার পর বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমার যতটুকু মনে হয় টাকাটা তারা দিয়ে দেবে, যদি না দেয় আইন যেসব ক্ষমতা বিটিআরসিকে দিয়েছে, বিটিআরসি কখনও কোনো বেআইনি কাজ করে না, করবেও না। তারা তো কোর্টে গেল, রিভিউ আদেশে বলে দিল এক হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। আর তো কোনো যাওয়ার জায়গা নেই, আর কোনো যাওয়ার জায়গা আছে বলে আমার মনে হয় না ।
প্রশাসকের কাজের বর্ণনা দিয়ে জহুরুল হক বলেন, উনার কাজ হবে এই ইন্ডাস্ট্রি চালানো। তাদের বেতন-ভাতা যা যা আছে সব দেবে, সব করবে। এরপর টাকা যা বেশি হবে সেই টাকা সরকারের কাছে জমা দেবে। সে টাকা যখন জমা দেওয়া শেষ হয়ে যাবে তখন মেয়াদ শেষ হবে।
গ্রামীণফোন এক হাজার কোটি টাকা জমা দিলে এনওসি বন্ধের যে নির্দেশনা তা প্রত্যাহার করা হবে কিনা জানতে চাইলে বিটিআরসি প্রধান বলেন, ২৪ তারিখে আদালত কি নির্দেশ দেয়, তার উপর নির্ভর করবে, এনওসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২৪ তারিখের পর, টাকা তো ২৪ তারিখের মধ্যে দেবে, কাল তো ব্যাংক বন্ধ। আপিল বিভাগ গত ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেজন্য তাদের দেওয়া হয়েছিল তিন মাস সময়, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। ওই সময় শেষ হওয়ার আগে বিটিআরসিকে ১০০ কোটি টাকা দিয়ে আলোচনা চালু রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল গ্রামীণফোন। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাতে রাজি হয়নি। সে বিষয়টি তুলে ধরে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানিতে ছয় মাসের কিস্তিতে ওই দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত সোমবারের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, বুধবার ১০০ কোটি টাকা নিয়ে তারা এসেছিল, বলছে যে এটা আমরা শুরু করলাম, বিগিনিং। আমরা বললাম এই বিগিনিংটা যদি আগে শুরু করতেন তাহলে সকলের জন্য ভালো হতো। যেহেতু মামলার ব্যাপার, আপিল বিভাগের দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ আছে, আমরা টাকা নেইনি। আদালত পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছে আগামী সোমবারের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা জমা দিতে হবে। এক হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়ার পরে কিস্তির কি হয়, না হয় দেখবে। তিনি বলেন, এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার পরে আদালত যে আদেশ দেয় সেই আদেশ আমরা মানব। এখন বলটা গেছে কোর্টে, আমাদের কাছে নেই। আমরা অনেকদিন চেষ্টা করেছি আলোচনার জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।