পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে বার বার আপনাদের প্রশ্নের জবাব দেবো সেই সময় আমাদের নেই। এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এই প্রশ্ন দয়া করে আর করবেন না। বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের অনেক কর্মসূচি রয়েছে আমাদের অনেক কাজ রয়েছে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের এক যৌথসভায় সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি। দলের ঢাকা বিভাগের অধীন সব সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে এই সভা হয়।
দলীয় বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলন ছাড়া দলের কোনও কমিটি করা যাবে না। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া কোনও কমিটি ভাঙা যাবে না। কমিটি ভাঙতে হলে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করবেন। কেন্দ্র ছাড়া কেউ কাউকে সরাসরি বহিষ্কার করতে পারবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন এপ্রিল থেকে পুরোদমে শুরু হবে। মোট ২৯টি সম্মেলন করেছি। এর মধ্যে দুটি ঢাকা সিটির। কিন্তু ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত কোনও সম্মেলন হয়নি। শেখ হাসিনার বড় নির্দেশনা হচ্ছে দলকে ঢেলে সাজাতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংগঠনিকভাবে শৃঙ্খলা আনা এবং সময়ের চাহিদা মেটানো আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দল ক্ষমতায় থাকায় সাংগঠনিক দুর্বলতা টের পাচ্ছেন না। অনেক জায়গায় দেখা যায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছে, ৮-১০ বছর হয়ে গেছে আর কেউ নাই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। আবার অনেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিচ্ছে, কিন্তু অনুমোদন পেতে পেতে ছয় মাস। সম্মেলন করতে বললে বলেন, আমাদের তো মেয়াদ শেষ হয়নি। সম্মেলন যেদিন থেকে হবে, ক্ষণগণনা সেদিন থেকে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে শিক্ষা নেন।
তিনি বলেন, কমিটি করতে গিয়ে নিজের লোক পকেটে ঢুকাবেন না। এতে দলের কোনও লাভ হবে না। দল ভারী করার জন্য আজ বিতর্কিত ব্যক্তিদের আনবেন না। ঘরে বসে কমিটি করবেন না।
মুজিববর্ষ উদযাপনের কথা বলে চাঁদাবাজির প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দল প্রচার করছে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। কিন্তু ইভিএমে কারচুপি বা জালিয়াতির কোনও সুযোগ ছিল না। যদি এরকম সুযোগ থাকতো তাহলে নির্বাচনে ভোটের পার্সেন্টিজ বেশি হতো বা অস্থিতিশীলতা হতো।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আব্দুর রহমান, মো. শাহজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, পানি সম্পাদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোহাম্মদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন করিব, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।