পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অত্যবশ্যকীয় নিত্য পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি আয় আগের তুলনায় হ্রাস পাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যথেষ্ট কষ্টে আছে। গত প্রায় চার মাস ধরে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যের সাথে সম্প্রতি চাল, রসুন, আঁদা, মসুর ডাল, ভোজ্য তেল, চিনিসহ বেশকিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। আর নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সাথে নির্ধারিত আয়ের পরিবারগুলোর আয় হ্রাস পাওয়ায় দুর্ভোগের সাথে হতাশা আর ক্ষোভেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
মাস চারেক আগে পেয়াজ সেঞ্চুরি অতিক্রম করে ডবল সেঞ্চুরির পরে তা আড়াইশ’ টাকায় স্থির ছিল বেশ কিছুদিন। সর্বশেষ গতকাল বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা দরে। পেঁয়াজের রেশ ধরে গত দু’মাস যাবত দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে রসুন ও আদার বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। চীনে করোনাভাইরাসের অজুহাতে সে পালে এখন হাওয়া লেগেছে। গতকাল বরিশালের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা ১২০ টাকা এবং আমদানিকৃত আদা দেড়শ’ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। আর রসুন ডবল সেঞ্চুরি অতিক্রম করেছে। খুচরা বাজারে দেশি রসুন ২শ’ এবং আমদানিকৃত রসুন ২১০-২১৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। গত একমাসে সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে লিটারে ৭-১০ টাকা পর্যন্ত। চিনির দাম গত তিন মাসে কেজিতে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৬৫-৬৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকের ধানের গোলা শূণ্য হবার পরে গত একমাসে দক্ষিণাঞ্চলে চালের বাজারও অস্থির হয়ে উঠেছে। খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫-৭ টাকা। নিম্ন-মধ্যমানের ‘ব্রি-২৮ বালাম’ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা কেজি দরে। মধ্যম মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা কেজি।
এবার বাজারে শীতকালীন সবজির উৎপাদন অনেকটাই হতাশাব্যঞ্জক। পাশাপাশি দামও নিম্ন-মধ্যবিত্তের এখনো নাগালের বাইরে। তবে এখন পর্যন্ত সাধারণের ক্রয় সীমার মধ্যে রয়েছে গোল আলু, প্রতি কেজি ২০ টাকা।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর আয় ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। গত জুলাই থেকে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০% উৎসে কর কর্তনের ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। দু’বছর আগে পরিবার সঞ্চয়পত্রে যে গৃহিনী ১ লাখ টাকায় মাসে ১ হাজার ৭০ টাকা মুনাফা তুলতেন, এখন তা হ্রাস পেয়ে ৮৬৪ টাকা। ফলে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে। এর ওপর গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ডাকঘর সঞ্চয় মুনাফা প্রায় অর্ধেক হ্রাস করে ৬%-এ নামিয়ে আনায় দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।