পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সারাদেশে চলমান বন্যার অজুহাতে দাম বৃদ্ধির মধ্যেই এবার শুকনা পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে যেসব পণ্যের কোরবানির ঈদে বাড়তি চাহিদা থাকে সেসব পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছে, ঈদের কাছাকাছি এসে সরকারি নজরদারি শুরু হতে পারে ভেবে আগেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র এসব পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। তাই এখনই বাজার তদারকির আহ্বান ক্রেতাদের।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি রসুন ছিল ১৮০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে এখন দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। অন্যদিকে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়। একইভাবে আদা ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় এবং প্রতিকেজি আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীরা।
রসুনের মতো দাম বেড়েছে আদার। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি দেশি আদা ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে এখন তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা আদা ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে মানভেদে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে বাজারে ফার্মের লাল ডিমের ডজনপ্রতি দর ছিল ৯৫ টাকা। গতকাল তা ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হালি দরে। দেশি মুরগির ডিমের হালিপ্রতি দর ৫০ টাকা চেয়েছেন বিক্রেতারা।
গত সপ্তাহে বৃদ্ধির পরে এ সপ্তাহে তেলের দাম স্থিতিশীল। বাজারে খোলা সয়াবিন তেল (এক নম্বর) ৮৫ টাকা কেজি, লিটার ৮০ টাকা। সয়াবিন (সুপার) কেজি ৭০ টাকা, লিটার ৬৬ টাকা। পাম অয়েল কেজি ৬৮ টাকা, লিটার ৬২ টাকা। আর খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকায়, সয়াবিন (সুপার) ৭৪ থেকে ৭৬ টাকা, আর পাম অয়েল ৭০ টাকায়।
বাজারে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলÑরূপচাঁদা ৪৫০ টাকা, ফ্রেস ৪৩০, ভিওলা ৪৩০, পুষ্টি ৪৩০ টাকা ও তির ৪৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে দুই দিন আগে। বর্তমানে কোনো কোনো বাজারে দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গত দুই দিন আগে থেকে রূপচাঁদা এক লিটারের প্যকেটের দাম ৯০ টাকার পরিবর্তে ৯৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০, বরবটি ৬০, টমেটো ১০০, বাঁধাকপি ৫০ (প্রতিটি), ফুলকপি ৩০-৪০ (প্রতিটি), চিচিঙ্গা ৫০-৫৫, শিম ৮০, পেঁপে ২৫, বেগুন ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৪০, কচুর লতি ৫০, কচুর মুখী ৪০, শসা ৪০, আলু ২০-২২, ধুন্দুল ৪০, গাজর ৫০ এবং পটোল ৩৫ টাকা এবং প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। এ ছাড়া প্রতি হালি লেবু ২০-৩০ এবং কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট ৪০-৫২ টাকা (মানভেদে), মোটা চাল ৩৫-৩৬, পারিজা চাল প্রতি কেজি ৪০-৪১, বিআর আটাশ ৪০-৪২, নাজিরশাইল ৪২-৪৩ এবং পোলাও চাল মানভেদে ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কেজিপ্রতি দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ভারতীয় মোটা মসুর ডাল ৯৫-১০০, মুগ ডাল ১০০-১১০, বুটের ডাল ৪০ থেকে ৪৫, মাষকলাই ৯০, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারেও দেখা গেছে স্থিতিশীলতা। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৩০, খাসির মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৯০ টাকা ও পাকিস্তানি লাল মুরগি প্রতিটি ২৪০-২৮০ টাকায় (আকার অনুসারে) পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৩০০- ৫০০, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৮০, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৭০০ থেকে ১০০০, টেংরা ৮০০, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২০০, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২২০, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ২৮০, দেশি মাগুর ৬০০-৯০০ এবং আকারভেদে ইলিশ প্রতি জোড়া ১২০০-২২০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।