টুইটার ডাউন: সমস্যায় কোটি ব্যবহারকারী
বিশ্বের অনেক দেশে ‘টুইটার ডাউন’। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটার সাপোর্ট সেন্টার টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ডিজিটাল ফরম্যাটে মিডিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথাগত মিডিয়া থেকে নতুন (ডিজিটাল) মিডিয়াতে প্রবেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বঙ্গো।
বঙ্গো লাখ লাখ দর্শককে যে কোনও স্থান থেকে সার্বক্ষণিক অনলাইনে বাংলাদেশী কন্টেট দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। তারা বিগত ৫ বছরে অবকাঠামো এবং সফটওয়্যার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে যার ফলে সবাই ফিচার ও স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাইভ টিভি বা সিনেমা দেখতে পারবেন।
নেটফ্লিক্স, হুলু, অ্যামাজন এবং অ্যাপল টিভির মতো বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্থানের সাথে; বঙ্গোও বাংলাদেশে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসাবে তারা ইউটিউব থেকে গোল্ডেন প্লে বাটন অ্যাওয়ার্ড এবং আইসিটি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে। তাদের নেটওয়ার্কে ৮ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন যারা প্রতিমাসে ৬ কোটি ২০ লাখ ঘন্টা অনুষ্ঠান দেখছেন।
বঙ্গো বাংলাদেশের বিনোদনের ভবিষ্যত মাধ্যম বলে বিবেচিত হচ্ছে। তাদের লাইব্রেরিতে ১৫ হাজারের বেশি পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, নাটক, টিভি শো ও গানের ভিডিও রয়েছে যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এগুরো বনগো ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ এবং অন্যান্য অংশীদারি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উপভোগ করা যায়। বঙ্গো ইতোমধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পুরস্কার অর্জন করা ছাড়াও সিলিকন ভ্যালি এবং ইউরোপীয় ভিত্তিক বিনিয়োগকারিদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছে।
এ বিষয়ে বঙ্গোর চিফ কনটেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। বিগত ৫ বছরে আমরা প্রচুর পুরানো বাংলা সিনেমা ও নাটক ডিজিটালাইজড করেছি। এগুলো সবই www.bongobd.com ওয়েবসাইট থেকে দেখা যাবে।’
বঙ্গোর নিজস্ব অনুস্ঠান ছাড়াও তাদের লাইব্রেরিতে বাংলাদেশের অনেক টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান রয়েছে। বঙ্গো তরুণ প্রতিভাদের গান, চলচ্চিত্র বা প্রতিভা প্রকাশের জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে ভিডিও স্ট্রিমিং শিল্প ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলোর অগ্রগতি এবং ৫ জি নেটওয়ার্ক সংযোগ পরিষেবার উত্থানের সাথে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, টেলিকম প্রতিষ্ঠান এবং ভিডিও স্ট্রিমিং সরবরাহকারীদের মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তি হওয়ায় ভোক্তাদের নিরবচ্ছিন্ন স্ট্রিমিংয়ের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা আগামী বছরগুলোতে আরও সহজ হবে।
আমেরিকা নিউজ আওয়ারের এক সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের বাজারমূল্য ছিল ৩ হাজার ৯৬১ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের মধ্যে এটি ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: মিডিয়া, ভিডিও স্ট্রিমিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।