বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত-৩
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
শব্দে-শব্দে, অক্ষরে-অক্ষরে সাজানো গোছানো, জড়তাহীন ও সাবলীল কথা-বার্তা মানুষ পছন্দ করে। তখন কথা হয় সুস্পষ্ট। শ্রোতাও তার পুরো উদ্দেশ্য বুঝতে সক্ষম হয়। কথা শুনেও মজা পাওয়া যায়। সুন্দরভাবে কথা বলাও মানব চরিত্রের একটি উত্তম গুণ। দুজাহানের সর্দার, পেয়ারা নবী, ষে নবী, শ্রেষ্ট নবী মুহাম্মদ সা.-এর কথা বলার ধরনেও ছিল এমন বৈশিষ্ট্য, যা উম্মতের জন্য শিক্ষণীয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বোত্তম ও প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলতেন।
তিনি কথা বলতেন কম। কিন্তু তা ছিল ব্যাপক অর্থবোধক। তাইতো মানুষ কথা বলবে কম, কিন্তু কথার অর্থ হবে আবেদনমূলক, বোধগম্য ও সুন্দর। যে কথা শ্রুতি মধুর নয় এবং জড়তায় একাকার, সেকথা মানুষ পছন্দ করবে না। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্দর ও গোছানোভাবে ধীরে ধীরে কথা বলতেন। কথায় ছিল না কোনো তাড়াহুড়ো।
হাদিসে পাকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা বলার ধরনও ওঠে এসেছে। যা উম্মতের জন্য শিক্ষণীয় ও পালনীয়। আর তাহলো-
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমাকে ‘জাওয়ামিউল কালিমসহ (সুসংক্ষিপ্ত ও মর্মসমৃদ্ধ বাণীসহ) প্রেরণ করা হয়েছে এবং আমাকে প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।
একবার আমি ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলাম, পৃথিবীর ভান্ডারগুলোর চাবি আমাকে দেওয়া হয়েছে এবং তা আমার হাতে রেখে দেওয়া হয়েছে।’ (বুখারি)। ইমাম যুহরি রহ. হাদিসটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সংক্ষিপ্ত কথা বলতেন, যা শব্দ বা উচ্চারণের দিক থেকে হতো অল্প কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক।’
আসুন আমরা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মতো গোছানো সুস্পষ্ট সুসজ্জিত ও মার্জিত ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করি। সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণে মহান আল্লাহ আমাদেরকে জীবন সাজানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।